শ্রীলঙ্কার ফিল্ডিংই বলে দেয়, জয়ের জন্য কোন দল কতটা ক্ষুধার্ত ছিল। উইকেটের চরিত্র বিবেচনায় নতুন বলে উইকেট নিয়ে চাপ সৃষ্টি করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। এ ছাড়া ৬ বোলার থাকলে যে প্রতিপক্ষ দলের ওপর পুরো সময় চাপ সৃষ্টি করা যায়, সেটিও স্পষ্ট হলো। দু-একজন বাদ দিলে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানেরই আস্থার জায়গাটা অত্যন্ত নড়বড়ে।
আউট হওয়ার ধরনটি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। অসময়ে বারবার সুযোগ দিয়ে নির্বাচকেরা বোধ হয় তার ক্ষতিই করছে।
ওপেনার হিসেবে আবারও আস্থার প্রতিদান দিল। ওর ব্যাটে-বলে মিডল করার সামর্থ্য নিশ্চয়ই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। তবে এখন থেকে দলগুলো মিরাজকে নিয়ে গবেষণা শুরু করবে সেটিও মনে রাখতে হবে। বোলিং সন্তোষজনক।
আবারও ব্যর্থ। ওর মানের একজনের জন্য সত্যি অস্বাভাবিক। নিজের ওপর আস্থার অভাব খুবই স্পষ্ট।
খুবই সফট ডিসমিসাল। যে মানেরই খেলোয়াড় হোক না কেন, ইনিংসের শুরুতে একটু সতর্ক থাকার ব্যাপারটা সবার জন্যই প্রযোজ্য। বোলিং সন্তোষজনক।
পরপর দুই ম্যাচে একই পরিণতি। ইমপ্যাক্টহীন এ ইনিংসগুলো শেষ পর্যন্ত মূল্যহীনই থেকে যায়।
প্রথম কয়েকটা বল একটু এলোমেলো হলেও শেষ পর্যন্ত বেশ গোছানো এবং স্কিলফুল একটা ইনিংস। দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল ও হৃদয়ের ওপর ৩ ও ৪ নম্বরের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
তার ওপর সবাই যে আস্থা দেখিয়েছে, সেটির প্রতিদান দিতে আবারও ব্যর্থ।
নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে মাঝের ওভারগুলোতে চাপ ধরে রেখেছে। এ কারণেই অন্যদের পক্ষে উইকেট নেওয়া সহজ হয়েছে।
এমন উইকেটে, বিশেষ করে নতুন বলে আরও জ্বলে উঠবে, এমন প্রত্যাশা ছিল। ওর মুখে বহুবার প্রক্রিয়ার কথা শুনেছি, সেদিকেই ওর মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। সব দিন সবার সেরা হবে না, এটাও মেনে নিতে হবে।
ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ভেতরে বল নিয়ে আসতে পারছে, এটি দারুণ ইতিবাচক। শুরুর দিকে কিছুটা এলোমেলো হলেও মাঝের ওভারে ওর কারণেই মোমেন্টাম ফিরে এসেছিল।
ভালো বল করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছে। আরও ডিসিপ্লিনড বোলিংয়ের সুযোগ আছে। এতটা দক্ষতা থাকার পরও ইয়র্কারে কেন অনীহা, বুঝি না।