প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের ডানা মেলতে দেয়নি বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে একটু আশঙ্কা তো ছিলই।
ওয়ানডেতে পুরোপুরি বিবর্ণই ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের মারকাটারি ব্যাটসম্যানদের সামনে তাঁরা কী করেন সেটি দেখার ছিল। বিশেষ করে এ বছর টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়া নিকোলাস পুরানকে নিয়ে একটু ভয় তো ছিলই। তবে সেই পুরান একেবারেই ম্লান ছিলেন বাংলাদেশ সিরিজে।
পুরান তিন ম্যাচে করেছেন ১, ৫ ও ১৫ রান। তবে এই সিরিজের আগেই স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে অসংখ্য রেকর্ড ভেঙেছেন গত আগস্টেই এক বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড গড়া পুরান।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এ বছর কী কী রেকর্ড ভাঙলেন পুরান, সেটি নিয়েই এই আয়োজন।
২৩৩১
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সালে ৭৪ ইনিংসে পুরানের রান। পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানের রেকর্ড ভেঙেছেন পুরান। রিজওয়ান ২০২১ সালে করেছিলেন ২০৩৬ রান।
১৭০
এ বছর টি-টোয়েন্টিতে পুরানের ছক্কা। গত আগস্টেই ১৩৬তম ছক্কা মেরে ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেলেন পুরান। গেইল ২০১৫ সালে ১৩৫টি ছক্কা মেরেছিলেন।
২৩২৭
ওপেনিং ছাড়া ব্যাটিং নেমে ২০২৪ সালে পুরানের রান। ওপেনারদের বাইরে এ বছরে এর আগে কেউ ১৬০০ রানও পাননি। আগের রেকর্ডটি এবি ডি ভিলিয়ার্সের, ২০১৯ সালে ১৫৭০।
১৬
২০২৪ সালে ১৬ বার ৫০ ছাড়িয়ে পুরান। যা ওপেনারদের বাইরে এক পঞ্জিকাবর্ষে রেকর্ড। ২০১৯ সালে ১৫ বার ৫০ ছুঁয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
৪৭৬
এবারের আইপিএলে পাঁচ বা এর নিচে নেমে পুরানের রান। এটিও রেকর্ড। আইপিএলে এক আসরে পাঁচ বা এর নিচে আগের রেকর্ড ছিল ৪৭৪, ২০২৩ সালে রিংকু সিংয়ের।
১৭
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৭ ছক্কা মেরে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডে ক্রিস গেইলকে (১৬, ২০১৬) পেছনে ফেলেন পুরান।