পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজম
পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজম

অধিনায়ক বাবরকে মিসবাহর ৩ পরামর্শ

দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানের নেতৃত্বে ফিরেছেন বাবর আজম। গতকাল নতুন করে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার মাঠেও নামেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। বাবরের আগের মেয়াদের নেতৃত্ব নিয়ে পাকিস্তানের সাবেকেরা অনেকেই সমালোচনা করেন।

তাঁদের অভিযোগ, ধরাবাঁধা নিয়মেই বাবর অধিনায়কত্ব করেন। যাতে উদ্ভাবনী ক্ষমতার কোনো প্রকাশ নেই। নেতৃত্বে উন্নতি আনতে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক বাবরকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

গত নভেম্বরে তিন সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়ার পর বাবর আপাতত শুধু সাদা বলের নেতৃত্ব পেয়েছেন। বাবর সাদা বলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে। পরিসংখ্যান বিবেচনায় বাবরের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ খুব একটা নেই। যে ৭২টি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ৪২টিতে জিতেছে পাকিস্তান। ওয়ানডেতে ৪৩ ম্যাচের ২৬টিতে। এরপরও কোনো ট্রফি জিততে না পারায় বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেকেই সমালোচনায় মেতেছিলেন।

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ মিসবাহ–উল–হক

ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে মিসবাহ বলেছেন, ‘অভিজ্ঞতা সব সময় অধিনায়কত্বের উন্নতি ঘটায়। আর সব সময়ই উন্নতির জায়গা থাকে। বাবরকে কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে। অতীতে তাঁর যে ভুলগুলো চোখে পড়েছে, সেখানে কৌশলগতভাবে তাকে উন্নতি করতে হবে।’

নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাবর দলের ভেতরে সম্পর্কের টানাপোড়নের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন। বাবর জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান দলে কেউ ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে ভাবেন না। দল নিয়ে বাবরের এই মনোভাবের প্রশংসাও করেছেন মিসবাহ, ‘বিশ্বকাপের আগে পুরো দলকে একীভূত করে, খেলোয়াড়দের সমর্থন দিয়ে বাবর ভালো করেছে। বাবরের সঠিক কারণে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানো দরকার, ভুল কারণে নয়। এটা বাবরকে শিখতে হবে। দ্বিতীয়ত, কৌশলের দিক থেকে অধিনায়ক হিসেবে তাকে উন্নতি করতে হবে।’

মিসবাহ এরপর যোগ করেন, ‘সর্বশেষ সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, যেটা আমি সব সময় বলি, উদাহরণ তৈরি করো। পারফরম্যান্স, ফিটনেস—সবকিছু দিয়ে নিজে উদাহরণ তৈরি করে অন্যকে করার জন্য বলতে হবে। যখন আপনি এটা করবেন, তখন উন্নতি হবে।’