শুরুটা হয় এবারের ইংলিশ গ্রীষ্মে। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ আর বেন স্টোকস অধিনায়ক হয়ে টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইংলিশ ক্রিকেটে বইছে বদলের হাওয়া। আগ্রাসী ব্যাটিং-বোলিংয়ের প্রদর্শনীতে টেস্ট ক্রিকেটের ভাষাটাই বদলে দিচ্ছেন স্টোকস-ম্যাককালাম জুটি।
সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের মুলতান টেস্ট, তার আগে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইংল্যান্ড যা করেছে, সে আলোচনা এখন সবার মুখে মুখে। টেস্ট ক্রিকেট প্রসঙ্গে ঘুরেফিরে ইংল্যান্ড ও তাদের নতুন ধারার ক্রিকেটের আলোচনাটা আসছে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের চট্টগ্রাম টেস্টের আগেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
আজ টেস্ট ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে ডমিঙ্গো নিজেই ইংল্যান্ডের উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, আমরা ইংল্যান্ডের মতো ব্যাট করব। এই মুহূর্তে নয়। ওরা যেভাবে খেলছে, সেটা অবিশ্বাস্য ও রোমাঞ্চকর। ওরা খেলাটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয়।’
দ্রুত বদলে যাওয়া টেস্ট ক্রিকেটের দৃশ্যপটে বাংলাদেশের এই মুহূর্তে কোন পথে হাটা উচিত, সে ব্যাখ্যাও করেছেন ডমিঙ্গো। তাঁর কথা, ‘আমার মনে হয় না, দল হিসেবে বাংলাদেশ সে অবস্থায় আছে, সে ধরনের ক্রিকেট খেলার জন্য। প্রথমত আমাদের হার এড়ানোর উপায় খুঁজতে হবে। এরপর জয়ের পথ খুঁজতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা খুব সহজেই এই সংস্করণে ম্যাচ হেরে যাই।’
যদি প্রতিপক্ষ দলগুলো বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মতো আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে, তখন কী হবে? ভারতের উদাহরণ টেনে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত নয় ভারত কীভাবে খেলবে? টেস্ট খেলার ক্ষেত্রে তারাও অনেকটা প্রথাগত দল।
তবে তাদেরও ক্রিকেটার আছে খুব দ্রুত ম্যাচটা নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, ক্রিকেটাররা যেন শৃঙ্খলা মেনে চলে, ধৈর্য ধরে খেলে। চাপের মুখে যেন ছেলেরা শান্ত থাকে। ইংল্যান্ড যেভাবে খেলছে, আমার মনে হয় না ভারত সেভাবে খেলবে। মনে হয় না এটা তাদের টেস্ট খেলার ধরন।’
কাল অবশ্য ভারতের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল বলেছেন ভিন্ন কথা। অনেকটা হুমকির সুরেই তিনি বলেছেন, ‘এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আপনারা আমাদের কাছ থেকে অনেক আগ্রাসী ক্রিকেট দেখবেন।’ ভারত সে রকমই খেললে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন হবে সন্দেহ নেই।