আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খান
আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খান

‘আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে চান না আর আমার সঙ্গে খেলতে চান?’, অস্ট্রেলিয়াকে রশিদের প্রশ্ন

‘টাকা আসবে-যাবে, আমার দেশের চেয়ে বড় কিছু না’, আফগানিস্তানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত করার পর বিগ ব্যাশে নিজের খেলার সম্ভাবনার প্রসঙ্গে এমন মনোভাবের কথা জানিয়েছেন রশিদ খান। তাঁর আফগান-সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে না চাইলে কেন তাঁকে সেখানে খেলতে বলে অস্ট্রেলিয়া, এমন প্রশ্নও তুলেছেন দলটির অধিনায়ক।

তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে নারীদের মানবাধিকারের ‘অবনতি’ হওয়ার কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২১ সালে একটি টেস্টের পর ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও বাতিল করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

এ মুহূর্তে গুজরাট টাইটানসের হয়ে আইপিএল খেলতে ভারতে থাকা রশিদ এ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইএসপিএনক্রিকইনফোর কাছে। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইটকে তিনি বলেন, ‘এটা পীড়া দেয়। আপনি সেরা দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে চাইবেন, সেখানেই আপনার ক্রিকেটের উন্নতি হবে। তাদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ শুধু বিশ্বকাপেই আসে, দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আসে না।’

বিগ ব্যাশে নিয়মিতই খেলেন রশিদ

এরপর রশিদ আরও বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে খুব বেশি কিছু করার নেই। এটা সমাধান করা সরকারগুলোর ব্যাপার। তবে আমাকে যেটা সবচেয়ে বেশি পীড়া দিচ্ছে, এমন কিছু ঘটলে সেটি (আফগানিস্তানে) ক্রিকেটকে আঘাত করছে কেন? এটা যদি সরকারের হাতেই হয়, তাহলে ক্রিকেটকে আঘাত করছে কেন? কেন ক্রিকেটের ওপর আসছে? ক্রিকেট কি এগুলোর সমাধান করতে পারবে? আমার মনে হয় যদি ক্রিকেট এগুলোর সমাধান করতে পারে, তাহলে ঠিক আছে। তাহলে আমি খুশি।’

আফগানিস্তানে ‘সুখের একমাত্র উৎস ক্রিকেট’ উল্লেখ করে রশিদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার এমন সিদ্ধান্ত সেটির ওপরই আঘাত করছে। এর আগেও বিগ ব্যাশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন রশিদ, যদিও শেষ পর্যন্ত ড্রাফটে নাম লেখান। আবারও বিগ ব্যাশে নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা বলেছেন তিনি, ‘মনের মধ্যে অনেক কিছুই আসছে। যেমন যদি আমার দলের বিপক্ষে খেলতে না চান, তাহলে কেন চান যে আমি আপনাদের দেশে খেলি? কারণ তাহলে তো আমার আপনাদের দেশে প্রবেশের এবং ক্রিকেট খেলার অনুমতি নেই।’

রশিদ এরপর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আপনি যদি আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে চান না আর আমার সঙ্গে খেলতে চান? এ দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? এর মানে, আমি আমার সতীর্থদের অসম্মান করছি। আমার দেশেরও মর্যাদাহানি করছি। ফলে আমি যদি সেখানে খেলি, যদি টাকা আসে—আমার দেশের চেয়ে বড় কিছু না। টাকা আসবে-যাবে। এটা ব্যাপার না।’

রশিদের মতে, ‘তারা যদি আমাদের সঙ্গে খেলে এবং আমরা তাদের বিপক্ষে খেলি, এভাবেই শুধু আমরা সেখানে খেলতে পারি। এ সমস্যার সমাধানের একমাত্র উপায় এটিই।’