বিষয়টি প্রথমে আলোচনায় আনেন রশিদ খান। ত্রিনিদাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচের টসের সময় তিনি বলেন, ভ্রমণ–জটিলতার কারণে না–ঘুমিয়েই মহাগুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল খেলতে হয়েছে তাদের। আফগান ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৯ উইকেটে হারের পর একই কথা বলেছেন দলটির কোচ জোনাথন ট্রটও।
২৫ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচটা খেলেছে আফগানিস্তান দল। সেদিন ম্যাচ শেষে আফগান টিম হোটেলে ফিরেছে মধ্যরাতে। পরদিন ত্রিনিদাদের ফ্লাইট ৪ ঘণ্টা দেরি করায় ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে পারেননি আফগানরা।
রশিদ টসের সময় বলেছেন, ‘আমরা খুব বেশি ঘুমানোর সুযোগ পাইনি। তবে আমরা ম্যাচটা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা মঞ্চ। আশা করছি, সবাই খুব ভালো করবে, দারুণ কিছু উপহার দেবে।’ কিন্তু ম্যাচে তা হয়নি। পুরো বিশ্বকাপে দাপট দেখিয়ে আসা প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানে থেমেছে আফগানিস্তানের ইনিংস। সে রান দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে গেছে ৮.৫ ওভারে, ৯ উইকেট হাতে রেখে।
বড় হারের পর আফগানিস্তানের কোচ ট্রটও ভ্রমণ–জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর কথা ছিল এমন, ‘আমরা হোটেলে পৌঁছেছি রাত ৩টায়। পরদিন সকাল ৮টায় আমাদের ফ্লাইট ছিল। আমরা ওই পাঁচ ঘণ্টায় যথেষ্ট ঘুমাতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবেই আমরা ক্লান্ত ছিলাম মানসিক ও শারীরিকভাবে। এসবই আমাদের ছেলেদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।’
তবে ট্রট কোনো অভিযোগ করতে চান না, ‘আমরা জানতাম, এটাই আমাদের সূচি। তাই আমাদের অজুহাত দেওয়ার সুযোগ নেই। যখন আপনি বিশ্বকাপ বা অন্য যেকোনো টুর্নামেন্টে খেলবেন, তখন সবকিছুই আপনার পক্ষে যাবে না। আপনাকে সবকিছুর সঙ্গেই লড়তে হবে, মানিয়ে নিতে হবে। আমরা যা করেছি, তাতে আমি গর্বিত। আজকের হারের সঙ্গে এসবের কোনো সম্পর্ক নেই।’