গতকাল শতক পেয়েছিলেন আকবর আলী। আজ রংপুর বিভাগের এই অধিনায়ক আউট হওয়ার আগে ২৫৪ বলে করেছেন ১৭৯ রান। আজ ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে শতক তুলে নেন আগের দিন আকবরের সঙ্গে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকা তানভীর হায়দারও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর অষ্টম শতক, থেমেছেন ১৬৮ রানে। ৩২২ বল খেলে ১৭টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তানভীরের ইনিংসে।
দুজনের শতকের সৌজন্যে রংপুর বিভাগ তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৩৫ রান করেছে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে মহানগর ৩ উইকেটে ১০৫ রান করেছে। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ম্যাচে মহানগর পিছিয়ে আছে ৩৩০ রানে।
আগের দিন ৮৯ রান করা ঢাকা বিভাগের মাহিদুল ইসলামও আজ শতক তুলে নিয়েছেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে মাহিদুলের ১০৬ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ঢাকা ২৬৬ রান করেছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাহমুদুলের প্রথম শতক এটি। দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেটের রান ৭ উইকেটে ১৭২।
রাজশাহীতে দিনের আরেক ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার পরও ঘুরে দাঁড়িয়েছে খুলনা বিভাগ। গতকাল প্রথম দিনের খেলায় খুলনা অলআউট হয় ১৫৫ রানে। জবাবে ২ উইকেট ৫১ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে চট্টগ্রাম।
আজ শামীম হোসেনের ৫৪ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস চট্টগ্রামকে ১৮৯ রানে পৌঁছে দেয়। এরপর খুলনাকে এগিয়ে নেয় নুরুল হাসান ও আফিফ হোসেন। সর্বশেষ ম্যাচে ১২৫ রান করা নুরুল আজ দিন শেষে ১০৬ রানে অপরাজিত, আফিফ খেলছেন ৫৭ রানে। দুজনের সৌজন্যে খুলনা ৪ উইকেট ২২১ রান করেছে, খুলনার লিড ১৮৭।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে বরিশালের লিড ১৩০ রান। গতকাল প্রথম ইনিংসে ১৯৬ রানে অলআউট হওয়া বরিশাল আজ রাজশাহীকে অলআউট করেছে ১৯১ রানে। বরিশাল তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১২৫ রান করেছে। বরিশালের ৫টি উইকেটই নিয়েছেন রাজশাহীর অধিনায়ক তাইজুল ইসলাম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০তমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তাইজুল।