একটা সুযোগ খুঁজছিলেন স্যাম কারেন। বেন স্টোকসের চোটে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে ঢোকার একটা সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। কারেনও টেস্ট দলে ঢোকার জন্য এটাকেই একটা সুযোগ হিসেবেই দেখছিলেন। তবে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দলে সুযোগ হয়নি তাঁর, যা নিয়ে হতাশ ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো এই বাঁহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
২০১৮ সালে কারেনের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল দারুণভাবেই। সেটাও মাত্র ২০ বছর বয়সে। টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৪ ম্যাচে ৪৭ উইকেট ও ৮১৫ রান নিয়ে দলের জয়ে ভালো অবদানও রেখেছেন। তবে সেটা ছোট সংস্করণে যতটা রাখতে পেরেছেন, ততটা নয়।
২৪ টেস্টের ক্যারিয়ারের কোনো ইনিংসে ৫ উইকেট না পাওয়া যার প্রমাণ। তবে তাঁর খেলা ২৪ টেস্টের মধ্যে ১৬টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। তিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন সেই ২০২১ সালের আগস্টে।
ম্যাককালামের অধীন এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড টেস্ট খেলেছে ৩০টি, এর মধ্যে ম্যাককালাম তাঁকে একবারও বিবেচনা করেননি। সম্প্রতি তাঁকে টপকে ইংল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার জশ হাল; গতি আর উচ্চতার কারণে যিনি ২০ বছর বয়সের নজর কেড়েছেন। হয়তো এ কারণেই কারেন একটা বার্তা পেয়ে গেছেন।
টক স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই অর্গল খুলেছেন কারেন, ‘দল এখন যেভাবে বানানো হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোনো দক্ষতার জন্য খেলোয়াড়দের নেওয়া হচ্ছে, একটু অচেনা কাউকে নেওয়া হচ্ছে। কাউন্টি খেলোয়াড় হিসেবে বিষয়টি আমার জন্য একটু অন্য রকম। কারণ, এখন আপনার আশা করতে হচ্ছে আপনি সেই নির্দিষ্ট দক্ষতা পূরণ করতে পারছেন। আর যদি না পারেন, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও কাউন্টিতে দলকে জেতাতে থাকতে হবে এবং আশা করতে হবে, দলের ডাক যেন আসে। এ নিয়ে আপনার আর কিছুই করার নেই। তারা যা খুঁজছে, সেটা যদি আপনার মধ্যে থাকে, তাহলে দারুণ বিষয়। কিন্তু না থাকলে আসলে এটা সামর্থ্যের বিষয়ও না হতে পারে।’
টেস্ট দলে ফেরা নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কির সঙ্গে আলোচনার কথাও জানিয়েছেন কারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, স্টোকস যখন চোটে পড়ে, আমি ভেবেছি, টেস্ট দলে ঢোকার পথ এটাই। দুই সপ্তাহ আগে রব কির সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছিল। সেখানে বর্তমান দল সম্পর্কে ধারণা ও টেস্ট দলে আমি কীভাবে ফিরতে পারি, সেটা নিয়েই কথা হয়েছে।’
নিজের অভিজ্ঞতার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন কারেন, ‘তরুণ ক্রিকেটার হলেও অনেক কম বয়সে টেস্টের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে। আমার মনে হয়, টেস্ট ক্রিকেট কী, একটা টেস্ট জয়ের মূল্য কী, নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়া ও কী মানসিকতা আপনার প্রয়োজন, তা জানতে আমি কিছুটা এগিয়ে ছিলাম। তাই আমি কিছুটা হতাশ। নির্বাচন তো নির্বাচনই, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম, বর্তমানে টেস্ট দলে ঢোকার সুযোগ এটাই।’
কারেন যোগ করেছেন, ‘বর্তমানে দল নির্বাচনে তাদের নিজস্ব একটা কাঠামো আছে—দলের পরিবেশের সঙ্গে এই মুহূর্তে যে খাপ খাওয়াতে পারবে, তাকেই তারা নিচ্ছে। এখন অতিরিক্ত গতি ও এই ধরনের বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি, ১২ মাসের জন্য ও অ্যাশেজের জন্য এসব ছেলেকেই তারা চায়। যত দিন না পরিকল্পনা শেষ হবে, আপনি প্রশ্নও করতে পারবে না।’