নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিশ্রামে ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিশ্রামে ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান

বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডেতে আফ্রিদি-শাদাবদের বিশ্রাম নিয়ে আকমলের প্রশ্ন

এমন নয় যে শাহিন আফ্রিদি, শাদাব খান ও শান মাসুদকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিশ্রাম দেওয়ায় পাকিস্তানের খুব একটা ক্ষতি হয়েছে। প্রথম ওয়ানডেটি তারা জিতেছিল ৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচের চেয়ে বেশি রান তাড়া করে আরও দাপট দেখিয়ে জিতেছে পাকিস্তান। ফখর জামানের অপরাজিত ১৮০ রানের সুবাদে ম্যাচটি পাকিস্তান জিতেছে ৭ উইকেটে, ১০ বল হাতে রেখে।

প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তানের জয়ে আফ্রিদি, শাদাব, মাসুদরা খুব যে একটা ভূমিকা রাখতে পেরেছেন, তা নয়। বাঁহাতি পেসার আফ্রিদি ১০ ওভার বোলিং করে ৬৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। লেগ স্পিনার শাদাব ১ উইকেট নিতে ১০ ওভারে দেন ৫৬ রান। আর নিউজিল্যান্ডের ২৮৮ রান তাড়া করতে নেমে ৩ নম্বর ব্যাটসম্যান মাসুদ মাত্র ১ রান করে আউট হন।  

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফ্রিদির জায়গায় খেলেছেন ইহসানউল্লাহ, শাদাবের জায়গায় আরেক লেগ স্পিনার উসামা মির। দ্বিতীয় ম্যাচে এ দুজনও তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। দুজনেই ছিলেন উইকেটশূন্য। ইহসানউল্লাহ ৮ ওভারে দিয়েছেন ৬০ রান, উসামা মির ১০ ওভারে ৬৬। আর ব্যাটসম্যান শান মাসুদের বদলে জায়গা পাওয়া আবদুল্লাহ শফিক করেছেন ১৪ বলে ৭ রান।

কে কত উইকেট পেলেন বা কে কত রান করলেন, পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কামরান আকমলের প্রশ্ন সেটা নয়। সামনেই বিশ্বকাপ, এর আগে দলের মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ কমানোটা ভালো লাগছে না তাঁর কাছে।

আকমল বিষয়টি নিয়ে একটু চটেছেনই। তাঁর কথা, ‘পাকিস্তান শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বিশ্রাম দিয়েছে। এটা কৌশলগত পদক্ষেপ নয়। আমাদের মাথায় বিশ্বকাপ আছে এবং তার (আফ্রিদি) এখন ৫০ ওভারের সংস্করণে সর্বোচ্চ সময় খেলা দরকার।’ কেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আকমল, ‘এটা তাকে আবার ছন্দে ফেরাবে এবং গতি বাড়াবে। এখন পাকিস্তান দলের এটাই প্রয়োজন।’

আকমল এরপর যোগ করেন, ‘তার (আফ্রিদি) বেশি খেলার ধকলের বিষয়টি আরও ভালোভাবে সামাল দেওয়া যায়। শাহিনকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া যেত। কিন্তু তারা তাকে ৫টি ম্যাচই খেলিয়েছে।’