রান তাড়ায় শেষ ওভারে টানা তিন বলে উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড
রান তাড়ায় শেষ ওভারে টানা তিন বলে উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড

শেষ ওভারের ‘পাগলামি’ সামলে জিতল নিউজিল্যান্ড

শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম বলে মার্ক চাপম্যান ছয় মেরে সমীকরণ নামিয়ে আনলেন ৫ বলে ৪ রানে। কিন্তু সহজ এই লক্ষ্য মেলাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলল নিউজিল্যান্ড। পরের টানা তিন বলে (একটি ওয়াইড) হারাল তিন উইকেট। লাহিরু কুমারা রানআউট মিস না করলে উইকেট যেত চতুর্থ বলেও। শেষের এই ‘পাগলামি’তে নিউজিল্যান্ডের মুঠোয় থাকা ম্যাচ তখন ফসকে যাওয়ার উপক্রম।

তবে জমিয়ে তোলা ম্যাচটায় শেষ পর্যন্ত হাসতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এক বল বাকি থাকতে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৪ উইকেটে। সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টির এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড।

কুইন্সটাউনের ম্যাচটিতে কিউইদের জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৮৩ রানের। টিম সেইফার্টের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বেশ সহজ জয়ই দেখছিল স্বাগতিকেরা।

উদ্ভাবনী শট খেলা ইনিংসে ৮৮ রান করে আউট হন টিম সেইফার্ট

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ছয় মেরে ২৬ বলেই পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন সেইফার্ট। ডানহাতি এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেও। তবে বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী শট খেলা ইনিংসটি থামে সাধারণ শর্ট-স্লোয়ার ডেলিভারিতে। প্রমদ মাদুশানের বলে কাভারে কাসুন রাজিতার ক্যাচ হন ৪৮ বলে ৮৮ রান করে।

এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয়বার আশির ঘরে আউট হয়েছেন সেইফার্ট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত ছিলেন ৭৯ রানে।

কুইন্সটাউনের জন ডেভিয়েলস ওভারে এটি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি

সেইফার্ট যখন আউট হন, নিউজিল্যান্ডের দরকার ২৩ বলে ২৯ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলের পর যা ৫ বলে ৪ রানে নেমে আসে। কুমারার করা ওভারটির দ্বিতীয় বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন চাপম্যান। পরের বলটি ছিল ওয়াইড, সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট হন জিমি নিশাম। তৃতীয় বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ ড্যারিল মিচেল।

এর পরের বলে রানআউট হতে পারতেন অ্যাডাম মিলনেও। তবে বল স্টাম্পে লাগাতে পারেননি বোলার কুমারা, স্টাম্পের পেছনেও কোনো ফিল্ডার ছিলেন না। ওভারের পঞ্চম বৈধ ডেলিভারি ডিপ পয়েন্টে পাঠিয়ে দুই রান তুলে জয় তুলে নেন রাচিন রবীন্দ্র।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে কুশাল মেন্ডিসের ফিফটিতে চড়ে পৌনে দুই শ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ে শ্রীলঙ্কা। ওপেনিংয়ে নামা মেন্ডিস ৪৮ বলে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ৩৩ রান তিনে নামা কুশাল পেরেরার। শুরুর দুই উইকেটে ১২২ রান তুলে ফেলা শ্রীলঙ্কা অবশ্য শেষ দিকে রানের গতি ধরে রাখতে পারেনি। ইনিংসের বিশতম ওভারে মাত্র ৩ রান তুললে ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৮২ রানে।

সিরিজজয়ের হাসি নিউজিল্যান্ড দলের

যে রান তাড়া করতে নেমে শেষ দিকে তালগোল পাকিয়েও জিতেছে নিউজিল্যান্ড।