টেস্টে আজ প্রথম দিনে সাকিব বোলিংয়ে আসতে অনেক দেরি করেছেন
টেস্টে আজ প্রথম দিনে সাকিব বোলিংয়ে আসতে অনেক দেরি করেছেন

সাকিব কেন এত পরে বোলিংয়ে, জানেন না তাইজুলও

আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং চলাকালে প্রায় পুরোটা সময় তিনি স্লিপেই ফিল্ডিং করলেন। অনেকটা সময় অধিনায়কত্বের দায়িত্বের ক্ষেত্রেও সাকিব আল হাসানের বদলে সরব দেখা গেল লিটন দাস বা তামিম ইকবালকে। প্রথম দুই সেশনে বোলিংয়েও এলেন না সাকিব। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বোলিং করেননি, সেটি অবশ্য চোটের কারণে। আজও মনে হচ্ছিল, হয়তো চোটের কোনো সমস্যার কারণেই সাকিব বোলিংয়ে আসেননি।

শেষ পর্যন্ত শেষ সেশনে ইনিংসের ৬৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। কেন তখন পর্যন্ত বোলিংয়ে আসেননি অধিনায়ক, সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত কিছু বলতে পারলেন না তাইজুল ইসলামও। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাইজুল সাকিবের পরে বোলিংয়ে আসা নিয়ে বললেন, ‘তেমন কোনো কারণ বলেন নাই আমাদের। হয়তোবা আমাদেরকে দিয়েই করানোর ইচ্ছা ছিল। আমরা খারাপ করলে হয়তো উনি আসতেন।’

দারুণ বোলিং করে ৫ উইকেট নেন তাইজুল

বাকিরা অবশ্য ভালোই করেছেন। তাইজুল ক্যারিয়ারে ১১তম বার পেয়েছেন ৫ উইকেট, ২১৪ রানেই অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। সাকিব ৬ নম্বরে বোলিংয়ে এসে ৩ ওভারে দেন ৮ রান, একটি মেডেন। ক্যারিয়ারে এর আগে মাত্র তিনবার ৬ নম্বরে বা এর পরে বোলিংয়ে এসেছেন সাকিব। তবে সেই তিনবারও ওভারের হিসাবে এত পরে আসেননি।  

সাকিবকে এত পরে বোলিংয়ে আসতে দেখে বিস্মিত হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল হ্যারি টেক্টরকেও। জবাবে অভিষেকেই ফিফটি করা এ আইরিশ ব্যাটসম্যান বললেন, ‘ঠিক তেমন নয়। তাইজুলকে তিনজনের মধ্যে মূল বাঁহাতি স্পিনার বলে মনে হয়েছে। তবে সে (সাকিব) তো বিশ্বমানের বোলার। ফলে সে যেকোনো সময় বোলিং না করলেই সেটি বোধহয় বিস্ময়কর। আমি নিশ্চিত, তার বোলিং না করার কোনো কারণ ছিল। তার মানে এই না যে সে বিশ্বমানের নয়।’

এ ম্যাচে বাংলাদেশ নেমেছে স্বীকৃত ছয়জন বোলার নিয়ে—তিনজন স্পিনারের সঙ্গে আছেন তিনজন পেসার। সর্বশেষ ২০১৪ সালে দেশের মাটিতে তিনজন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ।

প্রথম দিনে মাত্র ৩ ওভার বোলিং করেন সাকিব। সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগের মুহূর্ত

টেক্টর এমন উইকেটে স্পিনারদের বড় হুমকি মনে করলেও তাইজুল বলছেন, পেসারদের জন্যও সহায়তা আছে, ‘(দিন গড়ানোর সঙ্গে) তেমন কোনো বদল নেই উইকেটে। উইকেটটা এমন, চাইলেই বড় শট খেলা যাবে না। টিকে থাকতে পারবেন হয়তো, তবে শট খেলতে গেলেই কিছু একটা হয়ে যাবে। ভালো লাইন বা লেংথে করলে পেসার বা স্পিনার হলে—সবাই (সুবিধা পাবে)।’