ইমাদ ওয়াসিম ৩ উইকেট নেন সিলেটের হয়ে
ইমাদ ওয়াসিম ৩ উইকেট নেন সিলেটের হয়ে

মাশরাফির সিলেটের পাঁচে পাঁচ

দর্শকের ভিড় নেই। অন্যদিনের মতো স্টেডিয়ামে ডিজের মাঠ গরম করা গানও তেমন নেই। সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ঢাকা ডমিনেটরসের ম্যাচটা কেমন যেন ম্যাড়মেড়ে আবহে শুরু হচ্ছিল। আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকার ইনিংসে শুরুও ছিল মন্থর। ঢিমেতালে এগোতে থাকা ম্যাচটা নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়।

ঢাকার ইনিংসে ষষ্ঠ ওভারে এক দর্শক গ্যালারির কাঁটাতার টপকে মাঠে প্রবেশ করেন। সিলেটের জার্সি গায়ে জড়ানো সে দর্শক মাঠে নেমে দৌড়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার পায়ে পড়েন। তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। ময়মনসিংহ থেকে আসা এই দর্শক নাকি মুঠোফোন বন্ধক রেখে চট্টগ্রামে আসার টাকা জোগাড় করেছেন। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা সেই দর্শককে মাঠের বাইরে নিয়ে যান।

ঢাকার হয়ে ৩৯ রান করেন নাসির

এ ছাড়া ম্যাচে তেমন রোমাঞ্চ ছিল না। ঢাকার ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে সিলেটও ব্যাটিং করেছে ধীরগতিতে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ২০তম ওভারে গেলেও স্বাচ্ছন্দ্যেই জিতেছে মাশরাফির দল। ৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জিতেছে সিলেট। ৫ ম্যাচ খেলা সিলেটের এটি পঞ্চম জয়। ওদিকে ৪ ম্যাচ খেলা ঢাকার তৃতীয় হার ছিল এটি।

সিলেটের ইনিংসে শুরুটা ভালো হয়েছিল। নাজমুল হোসেন ও মোহাম্মদ হারিস উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান যোগ করেন। এরপর তাসকিন আহমেদ ও নাসির হোসেনের দুর্দান্ত বোলিং ঢাকাকে ম্যাচটাকে শেষ ওভারে নিতে সাহায্য করেছে। তাসকিন ৪ ওভারে ১ উইকেট নিয়েছেন ১২ রানে, এর মধ্যে ৪ রান এসেছে উইকেটকিপার মোহাম্মদ মিঠুনের ভুলে। নাসির ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। তবু জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।

সিলেটের হয়ে ৪৪ রান করেন মোহাম্মদ হারিস

দাপট দেখিয়েছেন সিলেটের বোলাররাও। ম্যাচের প্রথম ১০ ওভার ঢাকার রানরেট ৬–এর ওপর যেতে দেয়নি সিলেট। দুই বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম ও নাজমুল ইসলামের ৮ ওভার ঢাকাকে হাত খুলে খেলতে দেয়নি। ইমাদ ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে মাঝের ওভারে দাপট দেখিয়েছেন। তবে ঢাকার অধিনায়ক নাসির ক্রিজে এলে শুরু হয় ঢাকার লড়াই। আরিফুল হককে নিয়ে ঢাকার রানটাকে এক শর ওপারে নিয়ে যান তিনি। নাসির রানআউট হওয়ার আগে ৩১ বল খেলে ৩৯ রান করেছেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কায়।