ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন বাবর আজম, বল হাতে উইকেট সাকিবের
ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন বাবর আজম, বল হাতে উইকেট সাকিবের

বিপিএল: সাকিব–বাবরদের রংপুরের কাছে পাত্তা পেল না সিলেট

রায়ান বার্লকে ধন্যবাদ দিতেই পারে সিলেট স্ট্রাইকার।

না, জিম্বাবুইয়ান এই ব্যাটসম্যান দলকে জিতিয়ে দেননি। তবে বার্লের ব্যাটেই বিপিএলে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার চোখরাঙানি থেকে উদ্ধার হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুর রাইডার্সের ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে ৩০ রানে ষষ্ঠ আর ৪৭ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছিল সিলেট। বার্লই ৪৩ রানের ইনিংস খেলে সিলেটের রানটাকে নিয়ে গেছেন ৮৫-তে।

সিলেটকে ৭৭ রানে হারিয়ে আসরে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। আর সাত ম্যাচের ছয়টিতেই হারল সিলেট স্ট্রাইকার্স।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় সিলেট যখন ষষ্ঠ উইকেট হারায়, চোখরাঙানি দিচ্ছিল বিপিএল সর্বনিম্ন ৪৪ রানের রেকর্ড (২০১৬ আসরে রংপুরের বিপক্ষে)। সেটা কাটিয়ে উঠলেও সামনে ছিল এবারের আসরের সর্বনিম্ন ৭২, যে রানে ঠিক এক দিন আগেই গুটিয়ে গেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে নাঈম হাসানের সঙ্গ পেয়ে সিলেটকে সেই রান পার করিয়ে দেন বার্ল। যদিও তিন রানের মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারালে ১৬.৫ ওভারেই থেমে যায় সিলেটের ইনিংস।

এর আগে রংপুরের হয়ে সিলেটের ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় তৈরিতে নেতৃত্ব দেন সাকিব। বাঁহাতি স্পিনে ১২ নম্বর বলে প্রথম রান দেওয়ার আগেই দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট তাঁর। ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট মেহেদী হাসানের।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর রাইডার্সকে টেনেছেন দুজন। প্রথমে বাবর আজম, পরে নুরুল হাসান। দ্বিতীয় ওভারে ব্রান্ডন কিংকে হারানোর পর বাবর তিনে নামা ফজলে মাহমুদকে নিয়ে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। ১৪ রান করে মাহমুদ হ্যারি টেক্টরের শিকার হলে মাঠে নামেন সাকিব।

দুই ম্যাচ পর ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান

চোখের সমস্যায় ভোগা এই বাঁহাতি আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেননি। হয়তো আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলেই আজ নামেন চার নম্বরে। কিন্তু হ্যারি টেক্টরের প্রথম বলেই তিনি এলবিডব্লু। বাবরের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড আলাপ করেও অবশ্য রিভিউ নেননি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউতে বেঁচে যেতেন।

রংপুর ইনিংসের প্রথম অর্ধেক একাই টেনে নেন বাবর। এরই মধ্যে দুটি অর্ধশতক করে ফেলা পাকিস্তানি তারকা এগোচ্ছিলেন তৃতীয়টির দিকেও। তবে সামিত প্যাটেলে বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন ৩৭ বলে ৪৭ রানে। বাবর যখন ১৩তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন, রংপুরের রান ৮৮। সেখান থেকে সংগ্রহ দেড় শর ওপরে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করেন নুরুল হাসান। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৪৬ রান করে যান রংপুর অধিনায়ক। ১৪ বলে ২২ রান করে তাঁকে সঙ্গ দিয়ে যান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুজনের ব্যাটে চড়ে শেষ পাঁচ ওভারে ৬০ রান যোগ করে রংপুর।

যে রান শেষ পর্যন্ত বড় জয়ই এনে দিয়েছে তাদের।

ছয় ম্যাচে চার জয় তুলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে রংপুর রাইডার্স

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৬২/৭ (কিং ১, বাবর ৪৭, মাহমুদ ১৪, সাকিব ০, নুরুল ৪৬, ওমরজাই ২২, নবী ৭, শামীম ১০৮; এনগারাভা ৪–০–৪১–১, প্যাটেল ৪–০–১৪–২, নাঈম ৩–০–১৭–০, রেজাউর ৩–০–৩৮–১, টেক্টর ৩–০–২৪–২, আরিফুল ৩–০–২৭–১)।

সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৬.৫ ওভারে ৮৫ (নাজমুল ১, টেক্টর ৬, প্যাটেল ১১, জাকির ৪, মিঠুন ১, শামসুর ৩, বার্ল ৪৩, আরিফুল ৫, নাঈম ৬, রাজা ১*, এনগারাভা ০; ওমরজাই ৩–০–১৭–১, মেহেদী ৩–০–১৩–৩, সাকিব ৪–১–১৮–২, হাসান ৩–০–১২–১, নবী ২.৫–০–১৭–৩, আবু হায়দার ১–০–৬–০)।

ফল: রংপুর রাইডার্স ৭৭ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নুরুল হাসান।