অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস—কী নামে ডাকা যায় তাঁকে! স্পেনে জন্ম হলে নিঃসন্দেহে ম্যাথুসকে ডাকা হতো স্প্যানিশ ম্যাটাডোর নামে। জন্মটা যেহেতু সিংহের দেশ শ্রীলঙ্কায়, ম্যাথুসকে ‘সিংহহৃদয়’ নামে ডাকলে হয়তো ভুল হবে না। বয়স যতই হোক না কেন, বনের রাজা যেমন বুক চিতিয়ে লড়াই করে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে ম্যাথুসও তো তা–ই!
বয়স ৩৭ ছুঁই ছুঁই, আজ তাঁর বয়স ৩৬ বছর ১৪৬ দিন। এ বয়সেও যেভাবে তিনি বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রত্যাবর্তন করলেন, সেটা একমাত্র সিংহহৃদয় কোনো যোদ্ধার পক্ষেই সম্ভব।
ভাগ্যও এমন যোদ্ধার হয়ে কথা বলে। তা না হলে এই বিশ্বকাপে তো ম্যাথুসে থাকার কথাই নয়! মাতিশা পাতিরানার চোটে পড়ায় বিশ্বকাপের মাঝপথে ডাক পড়ে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের। টেস্ট আর টি–টোয়েন্টিতে মোটামুটি নিয়মিত হলেও ম্যাথুস গত তিন বছরে শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র ৪টি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ম্যাথুস সর্বশেষ বোলিং করেছেন ২০২০ সালে।
আর সেই ম্যাথুসই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফেরাটা ম্যাচটা স্মরণীয় করে রেখেছেন নিজের স্পেলের তৃতীয় বলেই উইকেট নিয়ে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ বানিয়েছেন ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা ডেভিড ম্যালানকে। ইংলিশ ওপেনার আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৬ চারে করেছেন ২৮ রান।
ম্যালান যখন আউট হন, ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ৪৫। দ্বিতীয় স্পেলে এসে তুলে নেন মঈন আলীকেও। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৫ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ম্যাথুস, আছে একটি মেডেনও। ইংল্যান্ডও অলআউট হয়েছে ১৫৬ রানে।
শুধু বল হাতে নয়, ফিল্ডিংয়েও সরাসরি অবদান রেখেছেন ম্যাথুস। বোলিংয়ের সঙ্গে একটি রানআউট ও ক্যাচ যোগ করুক, আদর্শ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বলতে যা বোঝায়, ম্যাথুস ফেরার ম্যাচে সেটাই করে দেখাচ্ছেন।
সুযোগ পেয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি কত বড় যোদ্ধা।