বেঙ্গালুরুর পর দিল্লি, পাকিস্তানের পর নেদারল্যান্ডস—ভেন্যু বদলেছে, প্রতিপক্ষ বদলেছে। তবে বদলায়নি ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটিং-ছন্দ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শতক তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ওপেনার।
আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯৩ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলার পথে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে রেকর্ড বইয়ের একাধিক তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি শতক এখন তাঁর। রিকি পন্টিংয়ের পাঁচ শতক ছাড়িয়ে ওয়ার্নারের শতক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬-এ। এ ছাড়া সব দেশ মিলিয়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ শতকের দিক থেকে ওয়ার্নার এখন যৌথভাবে দ্বিতীয়। ছয়টি শতক আছে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের।
এবার নিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলছেন ওয়ার্নার। আগামীকাল বয়স ৩৬ পূর্ণ করে ২৭ অক্টোবর পা রাখবেন ৩৭-এ। আগেই জানিয়ে রেখেছেন, এটি তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ওয়ার্নার তাঁর শেষ বিশ্বকাপ রাঙানো শুরু করেছেন প্রথম ম্যাচ থেকেই। ভারতের বিপক্ষে ৪১ রানের ইনিংস খেলার পথে বিশ্বকাপে দ্রুততম (১৯ ইনিংস) এক হাজার রানের রেকর্ড গড়েন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে অবশ্য যথাক্রমে ১৩ ও ১১ রানে আটকে গিয়েছিলেন। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে খেলেন ১৬৩ রানের ইনিংস, যার মাধ্যমে সাবেক অধিনায়ক পন্টিংয়ের ৫ শতকের রেকর্ড স্পর্শ করেন।
ঠিক পরের ম্যাচে আজ গেছেন ছাড়িয়েও। ম্যাচের ৩৯তম ওভারে বাস ডি লিডিকে চার মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছান ৯১ বলে। এটি ওয়ার্নারের ২২তম ওয়ানডে শতক। ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে কম ইনিংসে ২২টি শতক করার রেকর্ড হাশিম আমলার (১২৬)। বিরাট কোহলির লেগেছিল ১৪৩ ইনিংস। তৃতীয় সেরা হয়ে ওয়ার্নারের ২২তম শতকে লেগেছে ১৫৩ ইনিংস।
এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টানা দুই শতকের রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। তাঁর আগে টানা দুই ওয়ানডেতে শতক করেছিলেন মার্ক ওয়াহ, পন্টিং ও ম্যাথু হেইডেন। ওয়ার্নার যেভাবে ছুটছেন, তাতে এবার বিশ্বকাপে হয়তো আরও শতক দেখা যেতে পারে। বিশ্বকাপে তাঁর চেয়ে বেশি শতক আছে শুধু রোহিত শর্মার (৭টি)।