সেঞ্চুরি করেছেন ফারজানা
সেঞ্চুরি করেছেন ফারজানা

ফারজানার ব্যাটে আবার শতকের হাসি

রানআউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাচ্ছিলেন ফারজানা হক। অনেকটা পথ পেরোনের পর পেছন থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানিয়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার সিনালো জাফতা। এরপর সীমানা দড়ির বাইরে পা রাখতেই ফারজানা অভিনন্দন পেলেন সতীর্থ ও টিম স্টাফদের।

আজ পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে ফারজানা যা করেছেন, তাতে ড্রেসিংরুমে অভিনন্দনের ডালি আরও বড়ই হওয়ার কথা। মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম শতকটি তাঁরই ছিল। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নাম খোদাই করে নেওয়া এই ব্যাটার আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেছেন আরেকটি তিন অঙ্কের ইনিংস।

বাংলাদেশ দলের ইনিংসের পঞ্চাশতম ওভারে যখন রানআউট হয়ে ফিরছিলেন, নামের পাশে ১০২ রান। ১৬৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ১১টি চারে। ফারজানার দ্বিতীয় ওয়ানডে শতকে ভর করে প্রোটিয়া মেয়েদের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২২ রান তোলে বাংলাদেশ।

আজ রাতে এই প্রতিবেদন লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ ওভারে বিনা উইকেটে তুলেছে ২০ রান।

ইস্ট লন্ডনের প্রথম ওয়ানডেতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় (১১৯ রানে) পেয়েছিল বাংলাদেশ। যে জয় বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের পর তৃতীয় কোনো দেশে সিরিজ জয়ের সুযোগ।

সেই সুযোগ কাজে লাগানোর অভিযানে পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও ফারজানা। টস হেরে ব্যাট করতে নামা এই জুটি দলকে দেন ৪৮ রানের জুটি, যেখানে শামিমার অবদান ৩৬ বলে ২৮ রান। তিনে নামা মুরশিদা খাতুন অবশ্য ফারজানাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। ৮ রানে ফিরে যান দলকে ৬৩ রানে রেখে।

৯০ বলে অর্ধশত ছোঁয়া ফারজানা নিগার সুলতানাকে নিয়ে যোগ করেন ৮৮ বলে ৫৮ রান। এরপর ফাহিমা খাতুনকে নিয়ে বাড়ান রানের গতি। চতুর্থ উইকেটে ১০৮ বলে ৯২ রান যোগ করেন দুজন। ফারজানা ব্যক্তিগত ১০০ ছুঁয়েছেন ১৬৫ বলে। উইকেটের অপরপ্রান্তে ৪৮ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা।