শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আচরণবিধি ভাঙায় জরিমানা হয়েছে তাওহিদের হৃদয়ের। বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যানের ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি। এ ছাড়া একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে তাঁর হিসাবে।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে হৃদয় আউট হয়ে ফিরে আসার সময় মুখ ঘুরিয়ে শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের দিকে তেড়ে যান। জটলায় থাকা ফিল্ডারদের মধ্যে কারও সঙ্গে তর্কেও জড়ান। শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের মধ্যে কে তাঁকে কী বলায় খেপেছেন, তা অবশ্য বোঝা যায়নি। আম্পায়ার তানভীর আহমেদ ও ক্রিজে থাকা সৌম্য সরকারের হস্তক্ষেপে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আজ শাস্তির খবর জানিয়ে আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে হৃদয়ের আচরণ ছিল ‘আক্রমণাত্মক ও অসঙ্গত’। যা খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য প্রণীত আইসিসি আচরণবিধির ধারা ২.২০ ভঙ্গ করে। এ ধরনের আচরণ ‘খেলার চেতনা বিরোধী’ উল্লেখ করে লেভেল ওয়ান মাত্রার অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে।
লেভেল ওয়ান ভঙ্গের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শাস্তি আনুষ্ঠানিক তিরস্কার, সর্বোচ্চ ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও দুটি ডেমেরিট পয়েন্ট। আইসিসি জানিয়েছে, হৃদয়ের বিরুদ্ধে মাঠের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত ও তানভীর আহমেদ, তৃতীয় আম্পায়ার গাজী সোহেল ও চতুর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান অভিযোগ গঠন করলে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট শাস্তির রায় দেন। হৃদয় দায় স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
শাস্তি হিসেবে পাওয়া হৃদয়ের ১ ডিমেরিট পয়েন্ট ২৪ মাস কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে মোট চার বা এর বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয়। দুটি সাসপেনশন পয়েন্টের কারণে এক টেস্ট বা দুই ওয়ানডে কিংবা দুটি টি-টোয়েন্টি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।