আগামী আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আজ বোর্ডের মিটিংয়ের পর বলেছেন, এইচপি দলের সফরটি হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশের অন্যতম ব্যয়বহুল সফর’।
২০২৩ সালে ৬টি দল নিয়ে হলেও এবারের টুর্নামেন্ট হবে ৯ দলের। বিগ ব্যাশের পার্থ স্কর্চার্স, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সসহ স্থানীয় সাতটি দলের সঙ্গে এখানে অংশ নেবে বাংলাদেশের এইচপি ও পাকিস্তানের ‘এ’ দল—পাকিস্তান শাহিনস। পাকিস্তানের দলটি গত বছরও এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে রানার্সআপ হয়েছিল।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন এনটি স্ট্রাইক ও এসিসি কমেটসের সঙ্গে এ টুর্নামেন্টে আছে মেলবোর্ন রেনেগেডস ও মেলবোর্ন স্টার্সের একাডেমি দল। গত মৌসুমে এ টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়েছিলেন জেক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও উইল সাদারল্যান্ড, যাঁদের পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়।
আগামী ১১ আগস্ট মেলবোর্ন রেনেগেডস, ১২ আগস্ট তাসমানিয়া, ১৪ আগস্ট অ্যাডিলেডের বিপক্ষে খেলবে এইচপি দল। ১৫ আগস্ট এসিসি কমেটসের পর ১৬ আগস্ট পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে খেলবে তারা। ১৭ আগস্ট গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের দলটির। ১৮ আগস্ট হবে দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
এইচপি দলের অস্ট্রেলিয়া সফর নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। নর্দান টেরিটরির ওই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ছাড়াও পাকিস্তানের দলটির সঙ্গে দুটি চার দিনের ম্যাচ এবং দুটি ৫০ ওভারের ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশের এইচপি দল। এ ম্যাচগুলো হবে টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আগেই।
বিসিবির হাইপারফরম্যান্স বিভাগের প্রধান নাইমুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা নর্দান টেরিটরি ক্রিকেট এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই বিসিবির এইচপি দলকে মর্যাদাপূর্ণ টপ এন্ড সিরিজে খেলার আমন্ত্রণ জানানোয়। এ সুযোগ নিঃসন্দেশে আমাদের খেলোয়াড়দের অমূল্য অভিজ্ঞতা দেবে। উচ্চমানের একটি প্রতিযোগিতায় খেলার অভিজ্ঞতাও পাবে দলটি।’