সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়ার পথে মেহেদী হাসান মিরাজ (বাঁয়ে) ও লিটন দাস
সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়ার পথে মেহেদী হাসান মিরাজ (বাঁয়ে) ও লিটন দাস

রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট

লিটন-মিরাজের জুটিতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড

কী সময়েই না জুটিটা বেঁধেছিলেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের ইনিংসের বয়স তখন মাত্রই সাড়ে ১১ ওভার। এরই মধ্যে কিনা ২৬ রান তুলতে নেই ৬ উইকেট। সেখান থেকেই কী প্রতিরোধই না গড়লেন লিটন ও মিরাজ। না, তাঁরা খুঁটি গেড়ে বসে থাকেননি উইকেটে। দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়েই গড়ে ফেললেন ১৬৫ রানের জুটি। মিরাজ খুররম শেহজাদকে ফিরতি ক্যাচ দিতেই ভাঙে জুটি। ততক্ষণে অবশ্য একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন লিটন-মিরাজ। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটিটা যে তাঁদেরই।

সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি গড়েছেন লিটন-মিরাজ। এর আগে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট খোয়ানোর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ১১৫ রানের। সেই রেকর্ডটিও হয়েছিল পাকিস্তানে। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর সপ্তম উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল। রাজ্জাক ৪৫ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কামরান ফিরেছিলেন শোয়েব আখতারকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ার পর ১১৩ রান করে। সেই ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তান।

মিরাজ করেছেন ৭৮ রান

৫০ রানের কমে ৬ উইকেট খোয়ানোর পর সপ্তম উইকেটে আর একবারই ১০০ রানের জুটি দেখেছে। ২০২১ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেটি গড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এনক্রুমা বোনার ও জশুয়া দা সিলভা। ক্যারিবীয়রা ১৮ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারানোর পর ঠিক ১০০ রানই যোগ করেন দুজন।

লিটন–মিরাজের রেকর্ড জুটি
১৭৪*
ওয়ানডেতেও ৫০ রানের কমে প্রথম ৬ উইকেট হারানোর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিতে আছে মিরাজের নাম। ২০২২ সালে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আফিফ হোসেনকে নিয়ে ১৭৪ রানের জুটি গড়েন মিরাজ।