‘দিনাজপুর! দিনাজপুর!’, ‘চ্যাম্পিয়ন দিনাজপুর!’
ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের ফাইনালে চাঁদপুরের গনি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়কে ৩ উইকেটে হারানোর পর দিনাজপুর একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়ের ক্রিকেটারদের স্লোগান ছিল এমন। প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের কোনো স্কুল এই শিরোপা জেতায় সে দলের ক্রিকেটারদের এমন উচ্ছ্বাস।
প্রতিপক্ষ দল চাঁদপুরের গনি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের কোচ পলাশ কুমার সোম স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। আগে ব্যাট করে তাঁর দল ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১৭৪ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১০২ রান করে ফেলে দিনাজপুরের ছেলেরা। তারপর নামে বৃষ্টি। ডিএলএস মেথডে জয়ের জন্য দিনাজপুরকে করতে হতো ২০ ওভারে ৯৮ রান। ইনিংসের ২০তম ওভারেই দুটি বাউন্ডারি মেরে দিনাজপুরকে এগিয়ে নিয়ে যায় ওপেনার আইনুল ইসলাম।
খেলা বন্ধ হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ঢুকতে ঢুকতে দিনাজপুর একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এবার নামুক বৃষ্টি, যত জোরে পারে নামুক।’দলের ক্রিকেটারদের চোখে মুখে তখন নিশ্চিত জয়ের আনন্দ। বৃষ্টির কারণে আর খেলা না হলেও স্কুল ক্রিকেটের শিরোপা উঠত দিনাজপুরের ছেলেদের হাতে।
পরে অবশ্য খেলা শুরু হয়েছে। ওভার কমিয়ে ৪০-এ আনা হলে দিনাজপুরের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৮ রান। ৭ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে ফেলে দিনাজপুর একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়। ফাইনালে ম্যাচসেরা দিনাজপুরের অলরাউন্ডার আইনুল ইসলাম নিয়েছে ৪ উইকেট। ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে দিনাজপুরের ওপেনার রউফ।
চাঁদপুরের অধিনায়ক সালমান জাহান নিয়াজি সেদিক থেকে অনেকটা দুর্ভাগা। পুরো টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানের (৩৬০) এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের, পাশাপাশি লেগ স্পিন করে ২১ উইকেটও নিয়েছে সে। কিন্তু শিরোপা জেতা হয়নি। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সালমানকে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ২৭ উইকেট নিয়েছেন নেত্রকোনা মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যা নিকেতনের সোহেল রানা।
চ্যাম্পিয়ন: দিনাজপুর একাডেমি স্কুল
রানার্সআপ: চাঁদপুর গনি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়
ম্যান অব দ্য ফাইনাল: আইনুল ইসলাম (দিনাজপুর)
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: সালমান জাহান নিয়াজি (চাঁদপুর)
সর্বোচ্চ রান: সালমান জাহান মিয়াজি (৩৬০ রান)
সর্বোচ্চ উইকেট : সোহেল রানা জীবন (৯ ম্যাচে ২৭ উইকেট, নেত্রকোনা মধুমাছি কচিকাচা বিদ্যা নিকেতন)