বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে কেমন করেন জিমি অ্যান্ডারসন—লর্ডস গ্যালারিতে হাজির হওয়া বেশির ভাগ দর্শকের আগ্রহের বিষয়ই ছিল এটি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটির প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের দর্শকেরা পেলেন গাস অ্যাটকিনসনকে। ২৬ বছর বয়সী এই পেসারের আজই টেস্ট অভিষেক হয়েছে। আর অভিষেকেই নিয়েছেন ৪৫ রানে ৭ উইকেট।
অ্যাটকিনসনের পেস তোপের ইনিংসে অ্যান্ডারসন অবশ্য একেবারে শূন্য হাতে ফেরেননি। টেস্ট ক্রিকেটে ৭০০ উইকেট নেওয়া একমাত্র পেসার তুলে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ব্যাটসম্যানের উইকেট। ইংলিশ পেসারদের তোপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৪১.৪ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা অ্যাটকিনসন এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের জার্সিতে ৯টি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন। আজ টেস্ট অভিষেকে স্টোকস তাঁকে বোলিংয়ে আনেন দলের তৃতীয় বোলার হিসেবে। নিজের প্রথম স্পেলের ১৪ বলের মধ্যেই ২ উইকেট তুলে নেন অ্যাটকিনসন। তবে আসল ঝড়টা বইয়ে দেন দ্বিতীয় স্পেলে। নিজের নবম ওভারে চার বলের মধ্যে নেন অ্যালিক অ্যাথানাজে, জেসন হোল্ডার ও জশুয়া ডি সিলভাকে। অ্যাটকিনসনের এই তোপেই ৩ উইকেটে ৮৮ থেকে ৬ উইকেটে ৮৮ রানে পরিণত হয় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।
অ্যাটকিসনসন তাঁর ১১তম ওভারে তুলে নেন আলজারি জোসেফ ও শামার জোসেফের উইকেটও। সব মিলিয়ে ১২ ওভারে ৫ মেডেসনসহ ৪৫ রানে ৭ উইকেট। টেস্ট অভিষেকে ইংলিশ বোলারদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সেরা। ১৯৯৫ সালে এই লর্ডসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন অভিষিক্ত পেসার ডমিনিক কর্ক। টেস্ট ইতিহাসের অভিষেকের সেরা বোলিং অস্ট্রেলিয়ার আলবার্ট ট্রটের (৪৩ রানে ৮ উইকেট, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৯৫ সালে)।
অ্যাটকিনসনের টেস্ট অভিষেকে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা অ্যান্ডারসন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ব্যাটসম্যান জেইদেন সিয়ালেসকে এলবিডব্লুতে আউট করেন।