শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের এ ঘটনা বেশ অদ্ভুতই। প্রথমে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস বৃষ্টির কারণে ১২৭ রানে থেমে গেলেও শ্রীলঙ্কাকে ডিএলএস নিয়মে তাড়া করতে হয়েছে ১৯৬ রান। ম্যাচটি লঙ্কান নারীরা জিতেছেন চামারি আতাপাত্তুর ১৪০ রানের দারুণ এক ইনিংসে। নিউজিল্যান্ড দলের সম্মিলিত সংগ্রহের চেয়ে এ ম্যাচে এক চামিরার সংগ্রহই ১৩ রান বেশি! আর এই কীর্তি গড়েই ইতিহাস গড়েছেন চামারি আতাপাত্তু। প্রথম নারী ও সব মিলিয়ে দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান হিসেবে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন চামারি।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ সংগ্রহ সুজি বেটসের। তিনি ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। অপরাজিত ছিলেন তাঁর সঙ্গী ও কিউই অধিনায়ক সোফি ডিভাইনও (৩৮)। এর আগে ৫৩ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সুজি বেটস ও সোফি ডিভাইনের ৭৪ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ৩১ ওভারে ১২৭-এ নিয়ে যাওয়ার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টির পর রান তাড়ায় নেমে শ্রীলঙ্কানদের কাজটা সহজ ছিল না। ২৯ ওভারে ১৯৬ রানের লক্ষ্যমাত্রায় লঙ্কান ব্যাটার চামারি আতাপাত্তু খেলেছেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসই। তিনি ৮০ বলে ১৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। দারুণ এই ইনিংসে ছিল ১৩টি বাউন্ডারি ও ৯টি ছক্কা। নিলাক্ষী ডি সিলভা করেছেন ৪৮। তাঁর ৬৮ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি। চামারি আতাপাত্তুর মারকুটে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা ম্যাচটা জিতে যায় ২৬.৫ ওভারের মধ্যেই। এই জয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে লঙ্কানরা জিতল ২-১ ব্যবধানে।
১৪০ রানের ইনিংস খেলে মেয়েদের ওয়ানডে খেলোয়াড় র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন চামারি। প্রথম লঙ্কান নারী ক্রিকেটার হিসেবে মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠলেন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের মধ্যে আইসিসির খেলোয়াড় র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন সনৎ জয়াসুরিয়া—সেটি ২০ বছর আগে। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৩ সালের মে পর্যন্ত তিনি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন।
সর্বশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন চামারি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮৩ বলে ১০৮ করেছিলেন তিনি। এতেই র্যাঙ্কিংয়ে নিজেকে ৬ ধাপ তুলে নিয়েছেন তিনি। তিনি পেছনে ফেলেছেন হারমানপ্রীত কাউর, মেগ ল্যানিং ও লরা ভলবার্ট ও বেথ মুনিদের। এই বেথ মুনি গত ১০ মে থেকে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে ছিলেন।