টস হেরেই পাকিস্তানের সব শেষ!
পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার ক্ষীণ যে আশা ছিল, তাতে ছিল দুটি পথ। আগে ব্যাট করলে ইংল্যান্ডকে প্রায় ৩০০ রানে হারাতে হবে। আর পরে ব্যাট করলে ইংল্যান্ডকে ১০০ রানের মধ্যে অলআউট করে ৩ ওভারের ভেতর তাড়া করতে হবে। দুটির মধ্যে আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বড় একটা সংগ্রহ গড়াই তুলনামূলক কম কঠিন। তবে সেই ‘কম কঠিন’ পথে হাঁটতে হলে প্রথমে টস–ভাগ্যে জিততে হতো।
আজ জস বাটলারের সঙ্গে টস করতে নেমে এই ভাগ্যকেই সঙ্গে পাননি বাবর আজম। টসে জেতেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, বেছে নেন ব্যাটিং। তাতেই পাকিস্তানের সেমিফাইনালের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যায়। যা কাগজে–কলমে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ১০০ পার হয়ে যাওয়ার পর।
ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামলে পাকিস্তানের সামনে সেমিফাইনাল সমীকরণটা দাঁড়িয়েছিল এ রকম—ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে অলআউট করে তাড়া করতে হবে ১২ বলের মধ্যে, ইংল্যান্ডের রান ১০০ হলে তাড়া করতে হবে ১৭ বলের মধ্যে। আর ইংল্যান্ডের রান ১৫০ হলে তাড়া করতে হবে ৩.৪ বা ২২ বলের মধ্যে।
এর মধ্যে ইংল্যান্ডকে ১০০ রানে গুড়িয়ে ১৭ বলে তা তুলে ফেলা সম্ভব। কিন্তু ১৫০ হয়ে যাওয়ার পর তা একেবারে নাগালের বাইরে। তখন ২২ বলের সব কটিতে ছয় মেরেও ১৫০ তোলা সম্ভব নয়। পাকিস্তান তাই আনুষ্ঠানিকভাবে সেমিফাইনাল দৌড় থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ডের রান দেড় শর দিকে যেতেই। ইংল্যান্ড ১৫০ রানে পৌঁছে যায় ২৭তম ওভারে, মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই।
পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাট করে ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৩৭ রানে টেনে নিয়েছে ইংল্যান্ড। যা ৬.৪ বলে তাড়া করতে পারলেই পাকিস্তানের সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব। কিন্তু এই ৪০ বলে টানা ছয় মারলেও ইংল্যান্ডের রান টপকানো সম্ভব নয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তোলা ৩৩৭ এবারের বিশ্বকাপে ইংলিশদের তৃতীয় ৩০০ ছাড়ানো সংগ্রহ। এর আগে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে যথাক্রমে ৩৬৪ ও ৩৩৯ রান তোলার পর ম্যাচ জিতেছিল জস বাটলারের দল। সে দুটি ম্যাচে ব্যক্তিগত তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন ডেভিড ম্যালান ও বেন স্টোকস।
তবে আজ কলকাতার ইডেন গার্ডেনে তিনজন পঞ্চাশ ছাড়ালেও কেউ শতক করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৭৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন স্টোকস। জো রুটের ব্যাট থেকে আসে ৭২ বলে ৬০ রানের ইনিংস। অর্ধশতকের অপর ইনিংসটি ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর—৬১ বলে ৫৯। পাকিস্তানের হয়ে ৬৪ রানে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ, দুটি করে উইকেট শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিমের।