সিলেট জেলার সব ধরনের ক্রিকেট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। রেলিগেশনসহ লিগ পদ্ধতিতে সিলেট প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের দাবি নিয়ে গতকাল সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে সিলেটের ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) ও সিলেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সেই বৈঠকে ক্রিকেটারদের দাবি না মানায় আজ রাতে এক অনলাইন সভায় সিলেটের সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
সিলেট জেলার শীর্ষ ক্রিকেট লিগে ১০টি দল। সেই ১০ দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করেই লিগের কাঠামো সাজিয়েছে আয়োজক জেলা ক্রীড়া সংস্থা। খেলোয়াড়দের আপত্তি এ নিয়েই। তাঁদের দাবি গ্রুপভিত্তিক নয়, সরাসরি লিগ পদ্ধতিতে খেলা হোক। যেখানে সব দল সব দলের বিপক্ষে খেলবে, থাকবে অবনমনও।
সিলেট কোয়াব ও সিলেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাতীয় দলের ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়র প্রথম আলোকে নিজেদের কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ফ্ল্যাট লিগ (রাউন্ড রবিন) আয়োজনের। আর রেলিগেশন পদ্ধতি যেন লিগে ফিরিয়ে আনা হয়। তা না হলে এমন দায়সারা লিগ আমরা খেলব না। শুধু লিগ নয়, যে ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেট হয় সিলেটে, সেটাও বয়কট করছি। আগামীকাল এ ব্যাপারে আমরা ডিসির কাছে যাব। মানববন্ধন করব।’
আমাদের দাবি ছিল ফ্ল্যাট লিগ (রাউন্ড রবিন) আয়োজনের। আর রেলিগেশন পদ্ধতি যেন লিগে ফিরিয়ে আনা হয়। তা না হলে এমন দায়সারা লিগ আমরা খেলব না।এনামুল হক জুনিয়র
এ ব্যাপারে সিলেট কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আলীর বক্তব্য, ‘সিলেটের ক্রিকেট ধ্বংসের পথে। কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলে অনেক ক্রিকেটার এখান থেকে উঠে আসছে। কিন্তু গত ছয়-সাত বছরে বয়সভিত্তিক দলে কোনো খেলোয়াড় নেই। কারণ, আমাদের লিগটা ঠিকমতো হচ্ছে না। প্রতিবছর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে আমাদের ফাইট করতে হয়। এবারও একটা দায়সারা লিগ করতে যাচ্ছে।’
সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমেদ জানালেন, খেলোয়াড়দের আন্দোলন নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না তারা—‘আমরা তো লিগের সময়সূচি দিয়ে দিয়েছি। ১৬ তারিখে খেলা শুরু। তাঁরা যদি খেলতে না চায়, এটা তাহলে তাদের ব্যাপার।’