অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৬৩ রানে অলআউট করেছিল পাকিস্তান। যেটি ছিল ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন।
পার্থে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ১৫০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৩১.৫ ওভারে ১৪০ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। আগের ম্যাচের রেকর্ড ভেঙে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই এখন তাদের দলীয় সর্বনিম্ন।
১৪১ রান করতে পারলেই ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো সিরিজ জিতবে পাকিস্তান। দলটি অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ সিরিজ জেতেছিল ২০০২ সালে; সেটিও ছিল ওয়ানডে সিরিজ এবং ব্যবধান ছিল ২–১।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজে পাকিস্তানের পেসাররা উইকেট নিয়েছেন ২৬টি, যা পাকিস্তানের হয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ। এর নেতৃত্বে ছিলেন পেসার হারিস রউফ।
নানা কারণে চাপে থাকা এই পেসার অস্ট্রেলিয়া সিরিজকেই নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন। উইকেট নিয়েছেন ১০টি। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন অন্য পেসাররা—আফ্রিদি নিয়েছেন ৮টি, নাসিম শাহ ৫টি, হাসনাইন ৩টি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে ৪০ উইকেটই নিয়েছিলেন পাকিস্তানের স্পিনাররা। এবার অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সব উইকেটই নিলেন পেসাররা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন আটে নামা শন অ্যাবট। ছয়জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। এই ম্যাচ তো বটেই, এই সিরিজেই অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যানদের ফিফটি নেই! দলটির ওয়ানডে ইতিহাসে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে এমন ঘটনা এটাই প্রথম।
পাকিস্তান সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যানের ফিফটি নেই। দলটির ওয়ানডে ইতিহাসে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে এমন ঘটনা এটাই প্রথম।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হলেও ঘোষণা অনুযায়ী এ দিন বিশ্রামে রাখা হয়েছে স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুশেন, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডদের। তাঁর অনুপস্থিতিতে জশ ইংলিস, মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হতো। সেটা তাঁরা করতে পারেননি।
প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিতে নেমে ইংলিস করেছেন ৭ রান। স্টয়নিসের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ রান। আর ম্যাক্সওয়েল মেরেছেন ডাক। এই সিরিজে হারিস রউফের ৯টি বল খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। আউট হয়েছেন ৩ বারই।
অ্যাবটের ৩০–এর সঙ্গে শেষের দিকের ব্যাটসম্যানের অবদানে অস্ট্রেলিয়া ১৪০ রান করতে পেরেছে। অ্যাবট সপ্তম উইকেট জুটিতে জাম্পার সঙ্গে ৩০ রান ও অষ্টম উইকেট জুটিতে স্পেনসার জনসনের সঙ্গে ২২ রান যোগ করেন। এই জুটি দুটি না হলে রান আরও কমও হতে পারত।
আজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি ও নাসিম। রউফ নিয়েছেন ২টি, হাসনাইন ১টি। অভিষেক ম্যাচেই কুপার কনোলি ফিরেছেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে।