আফগানিস্তান কোচ জোনাথান ট্রট
আফগানিস্তান কোচ জোনাথান ট্রট

আফগানিস্তানেই থাকতে চান ট্রট

২০২২ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জোনাথন ট্রট। সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটারের কোচিংয়ে এ বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ জিতেছে আফগানরা। একটা পর্যায়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের স্বপ্নও দেখছিলেন রশিদ-নবীরা।

বিশ্বকাপে সাফল্য পাওয়ায় ট্রটকে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। প্রস্তাবে রাজি হয়ে আরও এক বছরের চুক্তি করতে যাচ্ছেন তিনি। বার্তা সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশনকে (পিএ) চুক্তি নবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রট বলেছেন, ‘আমি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। দলের (ভালোর) জন্য যা দরকার, তা নিশ্চিত করতে চাই।’

তবে নতুন বছরে কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যদের বাছাই করার কাজটা নিজের পছন্দমতো করতে চান ট্রট, ‘যদি প্রস্তাবটা পাই, তাহলে আমি কোচিং ও সাপোর্ট স্টাফ নিজের পছন্দমতো সাজাতে চাই। কোচিং স্টাফে কিছু পরিবর্তন এসেছে। ঠিক জায়গায় কোচদের দায়িত্ব দিতে হবে। আমরা এগোতে চাইব। পিছিয়ে পড়তে চাইব না।’
আফগান ক্রিকেটে অবশ্য দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ইচ্ছা নেই ট্রটের। তবে যখন দায়িত্ব ছাড়বেন, তখন আফগান ক্রিকেটকে ভালো জায়গায় রেখে যেতে চান, ‘আমি সব কিছু গুছিয়ে দিতে চাচ্ছি। নিশ্চিত করতে চাচ্ছি, আফগান ক্রিকেটকে যেখানে পেয়েছি, সেখান থেকে ভালো জায়গায় রেখে যেতে।’

বিশ্বকাপে ৪টি ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান

৪২ বছর বয়সী ট্রট আরও যোগ করেন, ‘যত বেশি ম্যাচ জেতা যায়, সে চেষ্টাই করব। আমরা পরবর্তী কোচ ও আফগান দলের জন্য একটা মান দাঁড় করাতে চাই।’

আগামী বছরের জুন–জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাফল্যের পর ট্রটের চোখ এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন রশিদ–নবীরা। বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। সঙ্গে বিশেষ ক্যাম্প তো আছেই।

ট্রট সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘পর্দার আড়ালে অনেক কাজ হচ্ছে। এ বছর পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগে আবুধাবিতে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিশেষ ক্যাম্প করেছে ছেলেরা। মানুষ এসব দেখে না। ওরা শুধু ৮ ঘণ্টার ওয়ানডে ম্যাচটা দেখে। আমাদের অনেকেই আইপিএলে ডাক পাচ্ছে। গতবার খেলেনি এমন অনেকেই এবার সুযোগ পেয়েছে। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা বলতেই হয়। আফগান ক্রিকেটাররা বিশ্বমঞ্চে কী করতে পারে, তা সবাই দেখতে পাচ্ছে।’