মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যালয়
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যালয়

বিসিবিকে ‘পবিত্র আমানত’ রক্ষার তাগিদ ক্রীড়া পরিষদের

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই পরিচালক–সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অনেক কমিটির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে হাতে গোনা কয়েকজন সক্রিয় পরিচালক অলিখিতভাবে দায়িত্ব নিয়ে একাধিক কমিটি তদারকির কাজ করছেন।

ফারুক আহমেদ সভাপতি হওয়ার পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা যে কয়টি সভা হয়েছে, তাতে অনেক পরিচালকই অনুপস্থিত ছিলেন। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো পরিচালক বিনা নোটিশে পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে তাঁর পরিচালক পদ শূন্য হয়ে যাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকটি পরিচালক পদই এখন শূন্য বলে ধরে নেওয়া যায়।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ

তবে কোন পদগুলো শূন্য হয়েছে, তা বিসিবি এখনো জানায়নি। জাতীয় ক্রিকেট পরিষদ আজ বিসিবি বরাবর এক চিঠিতে কতজন পরিচালকের পদ শূন্য হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই চিঠির ভাষা বড় অদ্ভুত। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এই চিঠির বিষয় হিসেবে লেখা হয়েছে: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদের অবদান/শূন্য হওয়াসংক্রান্ত। যাতে ১–২–৩ করে তিনটি প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে। ২ নম্বরে লেখা আছে, ‘স্ব-স্ব গঠনতন্ত্র স্ব-স্ব সংস্থার নিকট পবিত্র আমানত হিসেবে গণ্য। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিশ্বাস করে না যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এরূপ পবিত্র দর্শন থেকে বিচ্যুত আছে।’

৩ নম্বরে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমানে বলবৎ গঠনতন্ত্রের ১৫.২ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক পর পর ০৩ (তিন)টি সভায় অনুপস্থিতির কারণে কতটি পরিচালকের পদ অবসান/শূন্য হয়েছে তা জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি এতদসংক্রান্তে ১৩.৪ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক উক্ত শূন্য পদ পূরণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কি-না তা জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হলো। অধিকন্তু চলতি মেয়াদে কোন কোন পরিচালক পর পর কতটি সভায় (তারিখসহ) অনুপস্থিত আছেন/ছিলেন তা জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হলো।’