ডাম্বুলার বিপক্ষে ক্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন শরীফুল ইসলাম
ডাম্বুলার বিপক্ষে ক্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন শরীফুল ইসলাম

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুলের একাকী লড়াই

৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেও জিততে পারল না শরীফুল ইসলামের দল ক্যান্ডি ফ্যালকনস। রান তাড়ায় ১৭.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সে রান টপকে গেছে গল মার্ভেলস। ৬ উইকেটে হারার ম্যাচে আজ ক্যান্ডির হয়ে একাই লড়াই করেছেন বাংলাদেশের শরীফুল। বল হাতে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া এই পেসারই ছিলেন ক্যান্ডির সেরা বোলার। কিন্তু জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না।

আজ ডাম্বুলায় ক্যান্ডিকে প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন শরীফুল। গলের অধিনায়ক নিরোশান ডিকভেলা শরীফুলের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৩টি বাউন্ডারি মারেন। কিন্তু একই ওভারের শেষ বলে সুইংয়ে পরাস্ত হন এই বাঁহাতি। বেরিয়ে যাওয়া বলে লেগের দিকে টানতে গিয়ে অ্যান্দ্রে ফ্লেচারের হাতে ক্যাচ তোলেন ডিকভেলা। ইনিংসের শুরুতে ক্যান্ডির একমাত্র সাফল্য ছিল এটি।

এরপর অ্যালেক্স হেলস ও টিম সেফার্ট ৭৯ রানের জুটি গড়ে গলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন। দুজনের বিস্ফোরক জুটি আসে মাত্র ৩৪ রানে। ইনিংসের বাকি সময়টা গলের ব্যাটসম্যানদের আর ঝুঁকি নিতে হয়নি। হেলস ১৯ বলে ৩৮ রান করে আউট হন। শরীফুল তাঁর দ্বিতীয় স্পেলে এসে ফেরান আরেক বাঁহাতি ভানুকা রাজাপক্ষেকে। তবে সেফার্ট টিকে ছিলেন। রান রেট নাগালে থাকায় মাঝের ওভারের উইকেট পতনও তাঁকে চাপে ফেলতে পারেনি। এই কিউই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৮২ রানে।  

ক্যান্ডির ব্যাটসম্যানদের শুরুটা ছিল অন্য রকম। পাওয়ার প্লেতে ৩২ রান তুলেতেই প্রথম ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। সেখান থেকে তারা ১৭৫ রানে পৌঁছেছে ফ্লেচার ও অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সৌজন্যে। চাপের মুখে ৩৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন ফ্লেচার। হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল হাসারাঙ্গার ইনিংসে। গলের হয়ে ৩০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ইসুরু উদানা।