অ্যাডিলেড টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ১৯ রান। তা ছুঁয়ে ফেলতে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার খেলেছেন ২০ বল। ১০ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল প্যাট কামিন্সের দল।
মাত্র ১০৩১ বলেই শেষ হয়েছে অ্যাডিলেড টেস্ট, যা ভারত অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বনিম্ন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ১৮০ ও ১৭৫ (রেড্ডি ৪২, গিল ২৮, পন্ত ২৮; কামিন্স ৫/৫৭, বোলান্ড ৩/৫১, স্টার্ক ২/৬০)। অস্ট্রেলিয়া: ৩৩৭ ও ১৯ ( ম্যাকসুয়েনি ১০*, খাজা ৯*; বুমরা ০/২)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: ট্রাভিস হেড।
অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া–ভারত দিবারাত্রির গোলাপি বলের ম্যাচ শুরুই হয়েছে উইকেট দিয়ে। মিচেল স্টার্কের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লু আউট হয়েছেন যশস্বী জয়সোয়াল।
পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রান করা জয়সোয়াল স্টার্কের ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতির বলটি খেলতেই পারেননি। উদ্বোধনী সঙ্গী লোকেশ রাহুলের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে রিভিউ নেওয়ার ইচ্ছাও বাদ দিয়েছেন।
নতুন ব্যাটসম্যান শুবমান গিল। স্টার্কের একই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে মেরেছেন টানা দুই চার। তবে দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করছেন রাহুল। স্টার্কের সঙ্গী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং করছেন প্যাট কামিন্স।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০ রান। রাহুল ০, শুবমান ১০ রানে ব্যাট করছেন।
দিনের প্রথম বলে জয়সোয়ালকে হারালেও শুবমান গিলকে নিয়ে সকালের বেশির ভাগ সময় নিরাপদেই পার করেছেন লোকেশ রাহুল। তবে ডিনার বিরতি পর্যন্ত যেতে পারলেন না। স্টার্কের বলে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে ম্যাকসুয়েনির হাতে।
রাহুলের ৬৪ বলে ৩৭ রানের ইনিংসের সঙ্গে থেমেছে রাহুল–গিলের ৬৯ রানের জুটিও। নতুন ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৯ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৯ রান। গিল ৩০, কোহলি ০ রানে ব্যাট করছেন।
দশ বলও টিকলেন না বিরাট কোহলি। ৮ বলে ৭ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে। শিকারী সেই স্টার্কই।
জয়সোয়ালকে আউট করে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার টানা দুই ওভারে ফেরালেন লোকেশ রাহুল ও কোহলিকে। ভারতের সাবেক অধিনায়কের আউটে অবশ্য তাঁর দায়ই বেশি। অফ স্টাম্পের বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকা বল খেলবেন কি খেলবেন না ভাবতে ভাবতে ব্যাট সরিয়ে নিতে চেয়েছেন কোহলি। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়াল বল ব্যাটে লেগ দ্বিতীয় স্লিপে স্মিথের হাতে জমে। নতুন ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত। ক্রিজে এসে দ্বিতীয় বলেই মেরেছেন চার।
ভারত প্রথম ইনিংস: ২১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৮১ রান। গিল ৩১, পন্ত ৪ রানে ব্যাট করছেন।
হঠাৎই বড় ভাঙন ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে। চার ওভারের মধ্যে ফিরলেন লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি ও শুবমান গিল।
স্টার্কের টানা দুই ওভারে রাহুল ও কোহলি ফেরার সময় একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন গিল। তবে ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান স্কট বোল্যান্ডের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েছেন (৫১ বলে ৩১ রান)।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে এসেছেন রোহিত শর্মা, যিনি প্রথম টেস্টের দলে ছিলেন না।
ভারত প্রথম ইনিংস: ২২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৮২ রান। পন্ত ৪, রোহিত ১ রানে ব্যাট করছেন।
অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা অস্ট্রেলিয়ার। দুই ঘণ্টায় খেলা হয়েছে ২৩ ওভার। ভারত করেছে ৮২ রান, অস্ট্রেলিয়া তুলে নিয়েছে ৪ উইকেট। এর মধ্যে শেষ ২০ মিনিটের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়েছে ভারত।
ম্যাচের প্রথম বলেই জয়সোয়ালকে এলবিডব্লুতে ফিরিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। এরপর লোকেশ রাহুল–শুবমান গিলের ৬৯ রানের জুটিও ভাঙেন এই বাঁহাতিই। টিকতে দেননি বিরাট কোহলিকেও। রাহুল, কোহলি দুজনই আউট হয়েছেন স্টার্কের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। প্রায় দেড় বছর পর টেস্টে ফেরা স্কট বোলান্ড থিতু হয়ে যাওয়া গিলকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেললে ১ উইকেটে ৬৯ থেকে ৪ উইকেটে ৮১ রানে পরিণত হয় ভারতের স্কোর।
ডিনার বিরতি পর্যন্ত:
ভারত প্রথম ইনিংস: ২৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৮২ রান। পন্ত ৪, রোহিত ১ রানে ব্যাট করছেন।
ইনিংসের ৩০তম ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁতে পেরেছে ভারত। তবে এর মধ্যেই চলে গেছে ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় সেশনে ঋষভ পন্তকে নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় ওভারেই বোলান্ডের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন ভারত অধিনায়ক (২৩ বলে ৩ রান)। ৬৯ থেকে ৮৭—এই ১৮ রানের মধ্যেই ভারত হারিয়েছে চার উইকেট।
ষষ্ঠ উইকেটে পন্তের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নীতিশ রেড্ডি। এ দুজনের জুটিতেই এক শ ছুঁয়েছে ভারতের স্কোর।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৩২ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০৭ রান। পন্ত ২০, নীতিশ ৬ রানে ব্যাট করছেন।
প্যাট কামিন্সের ডেলিভারিটি একদম ছোবল মেরে উঠেছে! ঋষভ পন্তের ব্যাটের উপরিভাগে লেগে বল গালিতে, ক্যাচ নিলেন মারনাস লাবুশেন। ৩৫ বলে ২১ রানে আউট পন্ত। ভারতের বিপদ আরও বাড়ল।
ক্রিজে এখন অশ্বিন ও নীতিশ কুমার। ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৫ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১১৮।
অশ্বিন কেন রিভিউ নিলেন সেটা একটা প্রশ্ন। সম্ভবত দ্রুত অলআউট না হওয়ার মরিয়া ভাবনা থেকেই রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে পরিস্কার এলবিডব্লু!
৩৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টার্কের ফুল লেংথের ভেতরে ঢোকা ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কার ডেলিভারিটি ব্যাটে খেলতে পারেননি অশ্বিন। বল তাঁর পায়ে লেগেছে এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে মাঠের আম্পায়ার আউটও দেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণ হলো।
২২ বলে ২২ রানে ফিরলেন অশ্বিন।
অশ্বিন আউট হওয়ার দুই বল পরই আবারও আঘাত হানলেন স্টার্ক। আবারও ইনসুইংঙ্গিং ইয়র্কার এবং হর্ষিত রানা ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড! ভারতের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন স্টার্ক। টেস্টে এ নিয়ে ১৫বার, ভারতের বিপক্ষে প্রথম!
দিবা–রাত্রির টেস্টে গোলাপি বলে উইকেট নেওয়ায় স্টার্কের ধারেকাছেও কেউ নেই। ৭১ উইকেট নেওয়া স্টার্ক দ্বিতীয় নাথান লায়নের চেয়ে ২৮ উইকেট ব্যবধানে এগিয়ে। দিবা–রাত্রির টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেটও স্টার্কের, এ নিয়ে চতুর্থবার!
৩৯ ওভার শেষে ভারত ৮ উইকেটে ১৪১। ক্রিজে নীতিশের নতুন সঙ্গী যশপ্রীত বুমরা।
শুরুটা করেছিলেন স্টার্ক, শেষও করলেন এই বাঁহাতি পেসারই।
নীতিশ রেড্ডিকে ট্রাভিস হেডের ক্যাচ বানিয়ে ভারতের ইনিংস গুটিয়েছেন স্টার্ক। অ্যাডিলেডে ভারত প্রথম ইনিংসে অলআউট ১৮০ রানে।
ভারতকে দুই শর আগে অলআউট করার পথে মূল ভূমিকাটা স্টার্কেরই। নিয়েছেন ৪৮ রানে ৬ উইকেট। স্টার্কের ৯১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটিই সেরা বোলিং। এত দিন সেরা ছিল ২০১৬ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ রানে ৬ উইকেট।
স্টার্কের বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া নীতিশই ভারতের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে নিয়েছেন ৪২ রান। শেষ দুই উইকেটে ভারত যে ৩৯ রান যোগ করেছে, তাতে ৩২ রানই বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের।
বোলারদের নিয়ে নীতিশের শেষের লড়াই বলে দিচ্ছে কেমন করেছেন ভারতের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা। দিনের প্রথম বলেই স্টার্কের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন যশস্বী জয়সোয়াল। যদিও শুবমান গিলকে নিয়ে শুরুর ওই ধাক্কা সামলে নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছিলেন পঞ্চাশের বেশি রানের জুটি।
রাহুল–গিলের ৬৯ রানের জুটিটি ভাঙে স্টার্কের বলে রাহুলের ক্যাচে। এরপর শুধু একের পর উইকেটই হারিয়েছে ভারত। যার শেষটা দ্বিতীয় সেশনের দিকে। ভারতের অলআউটের সঙ্গে চা বিরতি দেওয়া হয়েছে।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৪৪.১ ওভারে ১৮০ (নীতিশ ৪২, রাহুল ৩৭, গিল ৩১, অশ্বিন ২২, পন্ত ২১; স্টার্ক ৬/৪৮, কামিন্স ২/৪১, বোলান্ড ২/৫৪)।
আজ তাঁর জন্মদিন। আর এমন দিনে ২০২৪ সালের প্রথম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন যশপ্রীত বুমরা।
দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভার নিরাপদেই কাটিয়েছেন উসমান খাজা ও নাথান ম্যাকসুয়েনি। তবে নিজের উইকেটটা বেশিক্ষণ আগলে রাখতে পারলেন না খাজা। বুমরার করা ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে প্রথম স্লিপে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার (৩৫ বলে ১৩ রান)।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ১১ ওভারে ২৪/১। ম্যাকসুয়েনি ৬, লাবুশেন ০ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
দিবারাত্রির টেস্টে অ্যাডিলেডে এখনো কোনো ম্যাচ হারেনি অস্ট্রেলিয়া। জিতেছে এর আগে খেলা সাত ম্যাচের সবকটিতেই। এবারের বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচটা অ্যাডিলেডে শুরু হয়েছে আজ।
ভারতের বিপক্ষে দিবারাত্রির এই টেস্টেও শুরুটা ভালো করেছে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে ১৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। ৩৫ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে ফিরেছেন উসমান খাজা। তাঁর উইকেটটি নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা।
প্রথম ইনিংসে ভারতের চেয়ে এখনো পিছিয়ে ৯৪ রানে। ৩৮ রান নিয়ে উইকেটে আছেন নাথান ম্যাকসোয়েনি। তাঁর সঙ্গী মারনাস লাবুশেনের রান ২০। ভারতকে প্রথম ইনিংসে ধসিয়ে দিতে টেস্টে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন স্টার্ক, ৪৮ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ ওভারেই উইকেট তুলে নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। ডানহাতি ওপেনার নাথান ম্যাকসুয়েনিকে ফিরিয়েছেন ঋষভ পন্তের হাতে ক্যাচ বানিয়ে (১০৯ বলে ৩৯ রান)।
এ নিয়ে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির প্রথম তিন ইনিংসেই বুমরার বলে আউট হলেন ম্যাকসুয়েনি। ২৫ বছর বয়সী এই ওপেনারের টেস্ট ক্যারিয়ারও ৩ ইনিংসেরই। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় উইকেট হারাল ৯১ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩৭ ওভার শেষে ৯৬/২। লাবুশেন ২৬, স্মিথ ১ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
আগের ওভারের শেষ বলে লাবুশেনের চারে অস্ট্রেলিয়ার রান পৌঁছেছে তিন অঙ্কের ঘরে। অ্যাডিলেড ওভালের ভরা গ্যালারি করতালিতে উদ্যাপন করেছে সেটা। তবে আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। বুমরা আবার হাতে নিতেই উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
বুমরার লেগ স্টাম্পের বল গ্লান্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে পন্তের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ (১১ বলে ২ রান)। দ্বিতীয় দিনের সকালে প্রথম আট ওভারের মধ্যে দুই উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৪১ ওভার শেষে ১০৮/৩। লাবুশেন ৩১, হেড ৫ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
উইকেটটা নীতিশ রেড্ডিই পেয়েছেন, তবে ভালো অবদান আছে যশস্বী জয়সোয়ালেরও।
লাবুশেন অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে চেয়েছেন গালি অঞ্চল দিয়ে। খেলেছেনও, তবে সেটি নাগালে পেয়ে গেছেন জয়সোয়াল, ডান দিকে হাত বাড়িয়ে নিয়েছেন দারুণ এক ক্যাচ।
সিরিজে প্রথম ফিফটি করা লাবুশেন থেমেছেন ৯ চারে ১২৬ বলে ৬৪ রান করে। নতুন ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৫৪ওভার শেষে ১৬৮/৪। হেড ৩২, মার্শ ০ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
ইনিংসের ৫৭তম ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ সিরাজকে মিড অন দিয়ে চার মেরেছেন ট্রাভিস হেড। এই বাউন্ডারিতে ভারতের প্রথম ইনিংসে করা ১৮০ রান টপকে গেছে অস্ট্রেলিয়া, শুরু হয়েছে লিড নেওয়া।
সিরিজে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া কতটা এগোতে পারবে সময়ই বলবে। তবে প্যাট কামিন্সের দলের হাতে এখনো ৬ উইকেট আছে।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৫৭ ওভার শেষে ১৮৫/৪। লিড ৩ রানের। হেড ৪৯, মার্শ ০ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৬ ওভার। তাতে অস্ট্রেলিয়া করেছে ১০৫ রান, ভারত নিয়েছে ৩ উইকেট।
মোটের ওপর ডিনার বিরতির সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯১। লিড ১১ রানের। ট্রাভিস হেড ৫৩ এবং মিচেল মার্শ ২ রানে ব্যাট করছেন। ভারতের পক্ষে আজকের দিনের প্রথম দুটিসহ ৩ উইকেট নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা, অন্য উইকেটটি নীতিশ রেড্ডির।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৫৯ ওভার শেষে ১৯১/৪। লিড ১১ রানের। হেড ৫৩, মার্শ ২ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
উইকেটের পেছনে বল গ্লাভসে নিয়ে খুব একটা উৎসাহ নিয়ে আবেদন করেননি ঋষভ পন্ত। বোলার অশ্বিন তো একদমই নন। কিন্তু ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ দিলেন হাঁটা। অগত্যা আম্পায়ারও আর কী করবেন? দিলেন আঙুল তুলে।
অশ্বিনের বলে পন্তের ক্যাচ হয়ে মাঠ ছেড়ে গেলেন মার্শ (২৬ বলে ৯)। কিন্তু আসলে কি তিনি আউট হয়েছেন?
রিপ্লেতে দেখা গেল বল যাওয়ার সময় প্যাড আর ব্যাটের সঙ্গে পরিষ্কার গ্যাপ। স্নিকোমিটারও নিশ্চিত করল, বল উইকেটের পেছনে যাওয়ার আগে মার্শের ব্যাটে লাগেনি। মানে আউট না হয়েও মার্শ আউট। নিজেই আউট হলে যা হয় আর কি!
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৬৭ ওভার শেষে ২২০/৫। লিড ৩০ রানের। হেড ৬৮, ক্যারি ৫ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
অশ্বিনের বল লেগ সাইডে ঠেলে একটা সিঙ্গেলই নিলেন তিনি। তাতেই গর্জে উঠল গোটা অ্যাডিলেড ওভাল।
ওঠারই কথা। ওই সিঙ্গেলেই যে পূর্ণ হল ঘরের ছেলের ১০০। অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন অ্যাডিলেডেরই ছেলে ট্রাভিস হেড। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।
তিন অঙ্ক ছুঁয়ে বাচ্চা কোলে নেওয়ার ভঙ্গিতে উদ্যাপন করেছেন হেড। গত নভেম্বরে তিনি ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছেন। হেডের উদ্যাপনের সময় কোলে বাচ্চা নিয়ে গ্যালারিতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৭২ ওভার শেষে ২৫৫/৫। লিড ৭৫ রানের। হেড ১০০, ক্যারি ৮ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
থেমে গেল হেড–মার্শ জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৪ বলে ৭৪ রান যোগ করেছেন দুজনে। যদিও ক্যারিয়ার অবদান মাত্র ১৫ রানের।
ক্যারিকে উইকেটের পেছনে পন্তের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। অস্ট্রেলিয়া হারাল ষষ্ঠ উইকেট। তবে এর মধ্যেই লিড ১০০ রানের ঘর ছুঁয়েছে। নতুন ব্যাটসম্যান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৭৮ ওভার শেষে ২৮৪/৬। লিড ১০৪ রানের। হেড ১২১, কামিন্স ১ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
এক চোট লেগেই গেল হেড–মার্শের। ঠিক আগের বলেই সিরাজকে ছক্কায় উড়িয়েছেন হেড। পরের বলে হেডকে বোল্ড করে প্রতিশোধই নিলেন সিরাজ!
লড়াইটা অবশ্য হেড বনাম সিরাজের নয়, হেড বনাম ভারতেরই। সেঞ্চুরি তো করেছেনই, একের পর এক বাউন্ডারিতে অস্ট্রেলিয়ার লিডটাও বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন তরতরিয়ে।
ঠিক আগের ওভারেই নতুন বল নিয়েছে ভারত। কিন্তু বুমরার করা ওই ওভারেই টানা দুই চার মেরেছেন হেড। পরের ওভারে সিরাজের প্রথম বলেও তা–ই। তৃতীয় বলে তো ছক্কাই মেরে বসলেন হেড। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ বলে ইয়র্কারে বোল্ড। ‘দেখিয়ে দিতে পেরে’ কিছু একটা বললেন সিরাজ, হেডও চুপ থাকেননি। সিরাজ আবার হাত উঁচিয়ে চলে যাওয়ার পথও দেখালেন হেডকে।
হেডের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংস থেমেছে ১৪১ বলে ১৪০ রান করে। ইনিংসে চার ১৭টি, ছক্কা ৪টি। নতুন ব্যাটসম্যান মিচেল স্টার্ক।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৮৩ ওভার শেষে ৩১৬/৭। লিড ১৩৬ রানের। কামিন্স ৮, স্টার্ক ৬ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
মিচেল স্টার্ককে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান যতটা সম্ভব এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন প্যাট কামিন্স। বাধ সাধলেন বুমরা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে বুমরার বলে বোল্ড হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক (২২ বলে ১২ রান)। এটি বুমরার চতুর্থ উইকেট।
কামিন্সের আউটের সঙ্গে চা বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন আম্পায়াররা।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৮৫ ওভার শেষে ৩৩২/৮। লিড ১৫২ রানের। স্টার্ক ১৮ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারে থামল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। স্কট বোলান্ডকে বোল্ড করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩৩৭ রানে। ভারতের চেয়ে এগিয়ে ১৫৭ রান।
ভারতের হয়ে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও নীতিশ রেড্ডি ১টি করে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান এসেছে ট্রাভিস হেডের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ মারনাস লাবুশেনের।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৮৭.৩ ওভারে ৩৩৭ (হেড ১৪০, লাবুশেন ৬৪, ম্যাকসুয়েনি ৩৯; বুমরা ৪/৬১, সিরাজ ৪/৯৮)। ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
১৫৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে ভারত। প্যাট কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দিয়েছেন লোকেশ রাহুল (১০ বলে ৭ রান)। নতুন ব্যাটসম্যান শুবমান গিল।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৪ ওভার শেষে ১৬/১। এখনো অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ১৪১ রানে।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩৩৭। ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
প্রথম ইনিংসে প্রথম বলে আউট হলেও জয়সোয়াল দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরুই পেয়েছিলেন। তবে উইকেটে থিতু হতে পারলেন না। বোলান্ডের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। করেছেন ৩১ বলে ২৪ রান। নতুন ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি, সঙ্গে শুবমান গিল।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ১২ ওভার শেষে ৫৭/২। এখনো অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ১০০ রানে।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩৩৭। ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০।
আবারও সেই চতুর্থ স্টাম্প! প্রথম ইনিংসে কল্পিত সেই চতুর্থ স্টাম্পের বল খেলা না খেলার দ্বিধায় ভুগেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন কোহলি। এবার বোলার ভিন্ন হলেও (স্কট বোল্যান্ড) একই লাইনের বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দেন কোহলি। ২১ বলে ১১ রানে ফিরলেন। শুবমান গিলের পর বোলান্ডের দ্বিতীয় শিকার কোহলি।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৩।
কোহলি ফেরার পর উইকেটে এসেই বোলান্ডকে চার মেরে শুরু করেন ঋষভ পন্ত। বোঝাই যাচ্ছে, ৩ উইকেট চলে যাওয়ায় নিজেকে গুটিয়ে রাখতে রাজি নন তিনি। পরের বলেই অবশ্য ২ রান নিতে গিয়ে প্রায় রান আউট হতে বসেছিলেন। বেঁচে গেছেন!
বোলান্ডের পরের ওভারেই তাঁকে আরও একটা দুর্দান্ত চার পন্তের।
অবিশ্বাস্য! দুর্দান্ত! মিচেল স্টার্কের ভেতরের দিকে আসা বল। গিল সামলানোর সব চেষ্টাই করলেন। কিন্তু পারলেন না। বল তাঁর মাঝের স্টাম্প উড়িয়ে নিয়ে গেল। টেস্টে এই প্রথম গিলের উইকেট পেলেন স্টার্ক।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ১৭.২ ওভারে ৮৬/৪
গিলের পর রোহিতকেও প্রায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন স্টার্ক! ভারত অধিনায়ক বেঁচে গেলেন নো বলের কারণে।
ওভারের দ্বিতীয় বলে গিলকে ফিরিয়েছিলেন স্টার্ক। পরের বলটা নো হয় ওভার স্টেপিংয়ের কারণে। এর পরের বলেই রোহিতের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। অবশ্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিপ্লেতে দেখা গেল আবারও ওভার স্টেপিং করেছেন স্টার্ক। এমনিতেও আউট হতেন না, ইনসাইড এজ হয়েছিল।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯ ওভারে ১০০/৪
বেশিক্ষণ টিকলেন না ভারত অধিনায়ক। চতুর্থ স্টাম্প বরাবর পড়ে ভেতরের দিকে আসা প্যাট কামিন্সের বল নাড়িয়ে দিল তাঁর অফ স্টাম্প। ১০৫ রানে ৫ নম্বর উইকেট পড়ল ভারতের। উইকেটে এসেছেন নিতীশ রেড্ডি।
ওপাশ থেকে উইকেট পড়েছে, কিন্তু একপাশে পন্ত খেলেছেন একেবারে নিজের মতো, করেছেন সাহসী ব্যাটিং। এমনকি দিনের শেষ ওভারেও প্রথম বলেই বোলান্ডকে উড়িয়ে মেরেছিলেন ছয়ের জন্য। ছক্কা হয়নি অবশ্য, হয়েছে চার। ওভারের শেষ বলে আরেকটা চার মেরেছেন নিতীশ রেড্ডি।
শেষ পর্যন্ত পন্ত দিনটা শেষ করেছেন ২৫ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থেকে, রেড্ডি কাল ব্যাট করতে নামবেন ১৪ বলে ১৫ রান নিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত এখন পর্যন্ত করেছে ২৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৮ রান। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ। ইনিংস হার এড়াতে ভারতের এখনো দরকার ২৯ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১ম ইনিংসে ১৮০ ও ২য় ইনিংসে ১২৮/৫ ( গিল ২৮, পন্ত ২৮*, রেড্ডি ১৫; কামিন্স ২/৩৩, বোলান্ড ২/৩৯, স্টার্ক ১/৪৯)
অস্ট্রেলিয়া: ১ম ইনিংসে ৩৩৭ (হেড ১৪০, লাবুশেন ৬৪; বুমরা ৪/৬১, সিরাজ ৪/৯৮)
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমেছে ভারত। কিন্তু কোনো রান তোলার আগেই দিনের পঞ্চম বলে মিচেল স্টার্কের বলে স্লিপে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ঋষভ পন্ত (৩১ বলে ২৮ রান)।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬ ওভার শেষে ১৩৪/৬। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এখনো ২৩ রানে পিছিয়ে।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩৩৭।
টিকতে পারলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। প্যাট কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার (১৪ বলে ৭ রান)। ভারত হারাল সপ্তম উইকেট।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৩০ ওভার শেষে ১৪৯/৭। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এখনো ৮ রানে পিছিয়ে।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩৩৭।
দিনের দ্বিতীয় আর ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়েছেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের বলে গালি অঞ্চলে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন হর্ষিত রানা (১২ বলে ০)।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৪ ওভার শেষে ১৫৫/৮। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এখনো ২ রানে পিছিয়ে ভারত।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৮০। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩৩৭।
১৭৫ রানেই থেমে গেল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১৫৭ রানে পিছিয়ে থাকা দলটি লিড নিতে পেরেছে মাত্র ১৮ রানের।
যার অর্থ, অ্যাডিলেড টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার মাত্র ১৯ রান।