ফজল হক ফারুকির হয়তো বিষয়টি এত দিনে মুখস্থ হয়ে গেছে।
ফুল লেংথ থেকে বল ভেতরে সুইং করিয়ে ব্যাটসম্যানের প্যাড কিংবা স্টাম্প খুঁজে নিতে হবে। পাঠকেরা ব্যাটসম্যানের জায়গায় তামিম ইকবালের নাম পড়তে পারেন। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ককে এভাবেই গত বছর টানা তিন ম্যাচে আউট করেছিলেন ফারুকি।
আজ আরেকটি সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্ট্রাইকে থাকা তামিমের বিপক্ষে ফারুকির প্রথম বলটা ছিল ঠিক একই লেংথের। কিন্তু লাইন ঠিক না থাকায় বল তামিমের প্যাড ছুঁয়ে যায় লেগ সাইডে। তামিম দৌড়ে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদলে ফেলেন। কিন্তু বেশিক্ষণের জন্য নয়। তামিমকে আরও একবার নিজের শিকারে পরিণত করতে ফারুকির লেগেছে ১৩ বল। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ফারুকির বলে আউট হলেন তামিম।
কিন্তু এবার তামিমের আউটের ধরন ছিল ভিন্ন। ২০২২ সালের সেই সিরিজে ভেতরে আসা বলে টানা দুই ম্যাচে এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছিলেন তামিম, শেষ ম্যাচে একই ধরনের বলে বোল্ড। কিন্তু আজ তামিম আউট হয়েছেন ফুল লেংথ থেকে ছোট সিম মুভমেন্টে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে। চার ম্যাচের মধ্যে তামিমকে ভেতরে ও বাইরে যাওয়া বলে আউট করলেন ফারুকি, আউটের ধরনও তিন রকমের। একজন ব্যাটসম্যানের ওপর কোনো বোলারের চূড়ান্ত আধিপত্য বোধ হয় একেই বলে।
আজ বাংলাদেশ ইনিংসের সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে তামিম আউট হওয়ার আগে ফারুকির বিপক্ষে সব মিলিয়ে ৬ রান নিতে পেরেছেন। এর মধ্যে একটি ছিল দুর্দান্ত একটি স্কয়ার কাট। সেটা ওই সপ্তম ওভারেই। যে বলে তিনি আউট হয়েছেন, তার ৪ বল আগে প্রায় একই লাইনের বলে স্কয়ার কাট করে বাউন্ডারি মারেন তিনি। সেই শটের পর মনে হচ্ছিল, আজ হয়তো দিনটা তামিমেরই। কিন্তু তা আর হলো কই!
গত বছর দুই দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি হয়েছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এবারও আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ খেলছে একই ভেন্যুতে। গত বছরের মতো এবারও উইকেটে রাখা হয়েছে সবুজ ঘাস। যা পেসারদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা।
সব যখন দুই দলের সর্বশেষ সিরিজের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, তামিম-ফারুকির এবারের লড়াইয়ের শুরুটাও হলো একইভাবে। এখন পর্যন্ত ফারুকির ৪৬ টি বল খেলেছেন তামিম। রান করেছেন ২০, বাউন্ডারি মাত্র ৩টি। আর আউটের সংখ্যাটা তো এখন সবার জানা। সিরিজের আরও দুই ম্যাচ বাকি। এই সংখ্যাগুলো আগামী দুই ম্যাচে কেমন হবে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।