লিটন খেলেছেন ৮১ রানের ইনিংস
লিটন খেলেছেন ৮১ রানের ইনিংস

জিম্বাবুয়েকে ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

মাত্রই রানের চাকা দ্রুত ঘোরানো শুরু করেছিলেন লিটন। কিন্তু চোট তাঁকে মাঠে থাকতে দিল না। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ব্যাটিংটাই আর করতে পারেননি তিনি। লিটনের মাঠ থেকে উঠে যাওয়া যদি আক্ষেপ হয়ে আসে, তাহলে সেই আক্ষেপ দারুণ খেলেই ঘুচিয়েছেন এনামুল হক। ২০১৯ সালের পর ওয়ানডে দলে ফিরে ৬২ বলে করেছেন ৭৩। তাঁর এই ইনিংসের সঙ্গে তামিমের ৮৮ বলে ৬২ আর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে লিটনের ৮৯ বলে ৮১ রানের ইনিংসে হারারেতে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৩০৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

ব্যক্তিগত ৮১ রানের সময় সিঙ্গেল নিতে গিয়েই হ্যামস্ট্রিংয়ে ব্যথা অনুভব করেন লিটন। শুশ্রূষা চলছিল, কিন্তু চোটটা বেশি হওয়ায় আর ব্যাটিংই করতে পারেননি। তামিমের সঙ্গে লিটনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১১৯ রান। দেখে-শুনেই খেলা শুরু করেছিলেন তাঁরা। কোনো ঝুঁকির শটই খেলেননি দুই ওপেনার, বিশেষ করে তামিম ইকবাল। বলের বাউন্স ও গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটি মাথায় ছিল তাদের। তবে ওয়ানডেতে ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আট হাজার রান পূর্ণ করেই সিকান্দার রাজার বলে ইনোসেন্ট কাইয়ার হাতে ক্যাচ দেন। শটটি খুব একটা ভালো খেলেননি তামিম। রাজা হয়তো ওই বলে তামিমের মতো সেট ব্যাটসম্যানের উইকেট আশাই করেননি।

তামিম করেছেন ৬২

এরপর লিটন চেষ্টা করেছিলেন রানের চাকা ঘোরাতে। বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম ছক্কাটি মারেন তিনি। উইকেটের চারদিকে ব্যাট ঘুরিয়ে রান তুলছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের চোট তাঁর কাছ থেকে আরও বিধ্বংসী কিছু দেখতে দেয়নি।

তিন বছর ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে এনামুল শুরুতে একটু ধীরলয়ে ব্যাটিং করলেও পরে সেট হয়ে আক্রমণাত্মক হয়েছেন। ৬২ বলে তাঁর ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৬ বাউন্ডারি। ৩টি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলে এনেছিল। ক্যারিবিয়ানে ওয়ানডে সিরিজে খেলার সুযোগ পাননি। জিম্বাবুয়েতে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন এনামুল।

লিটনের চোটের পর মাঠে নেমে মুশফিকুর রহিমও ভালো করেছেন। পবিত্র হজ পালনের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছুটি নিয়েছিলেন। জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। অনেক দিন পর ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়ে অর্ধশতক পেয়েছেন মুশফিক। ৪৯ বলে ৫২ করে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর ইনিংস বাউন্ডারি ছিল ৫টি। ১২ বলে ২০ করে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহও।