প্রতিপক্ষ যেমনই হোক, যেকোনো জয়ই খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। বাংলাদেশ দলও যেমন লিগ পর্বের চার ম্যাচের তিনটি জিতে সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি ফিরে পেয়েছে হারানো আত্মবিশ্বাস। এবার শুধু টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান এলেই হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে টানছেন বোলাররা। কিন্তু শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে সেটাই যথেষ্ট হবে না। বড় স্কোরের জন্য জ্বলে উঠতে হবে টপ অর্ডারকেও।
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ব্যাটসম্যানদের রানে ফেরার একটা কৌশল বাতলে দিয়েছেন। প্রথম আলোকে কাল মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘কন্ডিশনটা যদি সেন্ট ভিনসেন্টের মতো হয়, তাহলে আমরা যে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের কথা বলি, সে রকম কিছু হবে না। খেলতে হবে বুঝেশুনে। যদি কন্ডিশন ব্যাটিং সহায়ক হয়, তাহলে সেভাবেই খেলতে হবে। অন্য দলগুলোও তা-ই করবে।’
বিশ্বকাপের শুরুর অংশটা মাঠে বসে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে হাবিবুল যোগ করলেন, ‘যদি তা না হয়, তাহলে বুঝেশুনে ব্যাটিং করতে হবে। বেশি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেললে হবে না। ১৪০-১৫০ রান মাথায় রেখে খেলতে হবে। গিয়েই সব বোলারকে মারা যাবে না। এক-দুই রান নিতে হবে, মাঝেমধ্যে বাউন্ডারির চেষ্টা করতে হবে।’
বাংলাদেশ দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ বিষয়টাকে দেখছেন একটু অন্যভাবে, ‘বাংলাদেশ দল সুপার এইটে খেলবে, এটা কিন্তু আমরা প্রথমে চিন্তা করিনি। ছোট ছোট পারফরম্যান্স জোড়া লাগিয়ে আমরা এখন সুপার এইটে। বাংলাদেশের জন্য এটা বিরাট অর্জন। সুপার এইটে যেকোনো কিছুই হতে পারে। উইকেটের কারণে বড়-ছোট দলের মধ্যে যে পার্থক্য, তা অনেকটাই কমে এসেছে। আশা করি, বাংলাদেশও এই সুবিধা পাবে।’
মাসুদের আরেক মন্ত্র—রান–খরায় থাকা ব্যাটসম্যানদের স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার থেকে খুব বেশি রান আসছে না। তবে সেদিকে না তাকিয়ে এখন মন খুলে খেলা উচিত সবার। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আশা করি, এই মানসিকতা নিয়ে খেললে যারা রান না করে চাপে আছে, তারা তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।’