স্রেফ মাঠে ফেরার জন্যই ম্যাচটা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার স্মরণীয় হয়ে থাকার কথা। চোটের কারণে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ মিস করা শ্রীলঙ্কান স্পিনিং অলরাউন্ডার মাঠে ফিরেছেন ৬ মাস পর। আর ফেরার ম্যাচটিতেই করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং, যা ওয়ানডে ইতিহাসেরই পঞ্চম সেরা।
হাসারাঙ্গার দুর্দান্ত ফেরার ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর প্রেমাদাসায় সফরকারীদের মাত্র ৯৬ রানে অলআউট করে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেট ও ৬২ বল হাতে রেখে। যে জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডের মতো আজও হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। তবে সে দিনের মতো আজকের ম্যাচ পুরো পণ্ড হয়ে যায়নি। দুই দফায় খেলা বন্ধ থাকা ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমেছে ২৭ ওভারে। টসে জেতা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে প্রথম দফা বৃষ্টি নামে আট ওভারের পর। ওই সময় পর্যন্ত বিনা উইকেটে ৪১ রান তোলে ক্রেইগ আরভিনের দল।
কিন্তু বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে হাসারাঙ্গার লেগ স্পিন–ঘূর্ণির সামনে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ৪৩ থেকে ৪৮— এই পাঁচ রানের মধ্যেই জিম্বাবুয়ের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে তুলে নেন হাসারাঙ্গা। গত জুলাইয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর চোটের কারণে ছয় মাস মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে ফিরলেও প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না।
ফেরার ম্যাচে ৪ উইকেটেই থামেননি, পরে তুলে নেন আরও ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৫.৫ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়েই হাসারাঙ্গার শিকার ৭ উইকেট। এটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা তো বটেই, ওয়ানডে ক্রিকেটেই পঞ্চমসেরা বোলিং। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুই ওপেনারের (জয়লর্ড গামবি ২৯, তাকুজাওয়ানাশে কাইতানো ১৭) ইনিংস দুটিই দলগত সর্বোচ্চ। বিনা উইকেটে ৪৩ থেকে ৯৬ রানে অলআউট হওয়ার পথে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন আর মাত্র ৩ জন।
রান তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কা প্রথম ওভারেই হারায় আভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট। তবে অভিষিক্ত শেভন ডেনিয়েলকে নিয়ে ধাক্কা সামলে নেন কুশল মেন্ডিস। ডেনিয়েল ২৮ বলে ১২ রানের নড়বড়ে ইনিংস খেলে আউট হয়ে যাওয়ার পর সাদিরা সামারাবিক্রমা এসে মেন্ডিসকে জয় পর্যন্ত সঙ্গ দেন। অধিনায়ক মেন্ডিস ৯ চার ও ১ ছয়ে অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ৬৬ রান করে।
(২৭ ওভারের ম্যাচ)
জিম্বাবুয়ে: ২২.৫ ওভারে ৯৬ (গামবি ২৯, কাইতানো ১৭, জংওয়ে ১৪; হাসারাঙ্গা ৭/১৯, তিকশানা ১/১৫)।
শ্রীলঙ্কা: ১৬.৪ ওভারে ৯৭/২ (মেন্ডিস ৬৬*, সামারাবিক্রমা ১৪*; মাসাকাদজা ১/১৫)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী (ডিএলএস পদ্ধতি)।
ম্যাচসেরা: ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।