শিরোনাম থেকে একটা শব্দ বাদ দিয়েও পড়তে পারেন। ‘তামিম ইকবালের জন্য অপেক্ষা’ না পড়ে ‘তামিম ইকবালের অপেক্ষা’ পড়লেও খুব একটা ভুল পড়া হবে না। কারণ, তামিমকে পেতে বাংলাদেশ দল যেমন অপেক্ষায়, তামিম নিজেও অপেক্ষায় আছেন কোমরের ব্যথা জয় করে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে।
১৪ জুন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ–আফগানিস্তান টেস্ট। সফরের একমাত্র টেস্টটি খেলতে আজ সকালে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। আফগানিস্তান দল হোটেলে ওঠার পরপর হোটেলে উঠে গেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও। ওঠেননি শুধু তামিম। আজ রাতেই কোনো এক সময় উঠবেন বলে জানা গেছে একটি সূত্রে।
‘তামিমের জন্য অপেক্ষা’ বা ‘তামিমের অপেক্ষা’, যা–ই বলুন না কেন, সেটা অবশ্য তিনি হোটেলে দলের সঙ্গে যোগ দিলেই শেষ হয়ে যাবে না। কোমরের পুরোনো ব্যথাটা যে তাঁর আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত দুই দিন তো বাংলাদেশ দলেরই অনুশীলনে বিরতি ছিল, ব্যথার জন্য তামিম অনুশীলন থেকে দূরে আছেন পরশু বৃহস্পতিবার থেকেই। আগামীকাল রোববারও অনুশীলন করেন কি না, নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এখনই।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আজ সন্ধ্যায় তামিমের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে মুঠোফোনে বলেছেন, ‘তামিম কাল সকালে মাঠে এলে আমরা আগে তার ব্যথার অবস্থা কী, তা জানব। সে কাল অনুশীলন করতে পারবে কি না, সেটা তখনই ঠিক হবে।’
এমনিতে তামিমের ব্যথা নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত মনে হয়নি দেবাশীষ চৌধুরীকে। এমনকি ব্যথার জন্য তামিমকে এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধও সেবন করতে বলা হয়নি। তাঁর চিকিৎসা করছেন ফিজিও। তবে ১৪ জুন শুরু টেস্টে তামিম খেলতে পারবেন কি না, সে নিশ্চয়তা আজই দিতে পারছেন না বিসিবির প্রধান চিকিৎসক, ‘তামিম এর আগেও এ রকম ব্যথা ম্যানেজ করে খেলেছে। সেদিক দিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে সব সময় ব্যথা ম্যানেজ করে খেলা সম্ভব না–ও হতে পারে। টেস্টের এখনো তিন–চার দিন বাকি। কাজেই খেলার ব্যাপারে এখনই আমরা কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
তামিমকে নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে গেলেও সুখবর হলো, এই টেস্টের অধিনায়ক লিটন দাস জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ দুপুরে হোটেলে ওঠার পর অন্য সতীর্থদের সঙ্গে দলের মাইন্ড ট্রেনার অ্যালান ব্রাউনের ক্লাসেও ছিলেন তিনি। এখন শুধু তামিমের মাঠে ফেরার সুখবরের অপেক্ষা।