পার্থে টেস্ট ২৯৫ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। ঘুরে দাঁড়াতে একদমই সময় নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডে গোলাপি বলে দিবা–রাত্রির টেস্টে ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকেরা। বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে এখন ১–১ সমতা।
আজ সকালে ব্রিসবেনের গ্যাবায় তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে তাই দুই দলের কাউকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। যদিও সর্বশেষ ম্যাচে মিচেল স্টার্ক–প্যাট কামিন্সরা বল হাতে যেভাবে দাপট দেখিয়েছেন, তাতে তাঁদের একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী থাকার কথা। তবে শুবমান গিল এসবে পাত্তাই দিচ্ছেন না। গ্যাবায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, তাঁদের প্রজন্ম বল দেখে, বোলারকে নয়।
গ্যাবার ২২ গজকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির পিচগুলোর একটি বিবেচনা করা হয়। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের গতি ও বাউন্সারে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা প্রায়ই নাকাল হন। এই মাঠে টেস্টে ভারতের রেকর্ডও আশাব্যঞ্জক নয়। ৭ ম্যাচের ৫টিতেই হার, ড্র ও জয় ১টি করে।
তবে ভারতীয়দের জন্য ভালো ব্যাপার হলো একমাত্র জয়টা এসেছিল ২০২১ সালের সর্বশেষ টেস্টেই। যে ম্যাচে ৩২৮ রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি ধরে রেখেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে এশিয়ার কোনো দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও সেটা।
ম্যাচে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন শুবমান গিল। রোহিত শর্মার উদ্বোধনী সঙ্গী হিসেবে নেমে করেছিলেন ৯১ রান। সেই গিলই আজ গ্যাবায় সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরু থেকেই তাঁর কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তোয়াক্কা করেন না জানিয়ে ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘ওদের বিপক্ষে আমরা সর্বশেষ কয়েকটি (চারটি) সিরিজ জিতেছি। তাই ওদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যদি না জিততাম, তাহলে হয়তো এই প্রসঙ্গ আসত। আমরা শুধু বল দেখি, কে বল করেছে তা কোনো ব্যাপার নয়। আমাদের এই প্রজন্ম এভাবেই ভাবে। আমাদের মনোযোগ থাকবে যেন খুব বেশি আক্রমণাত্মক না হই, আবার অতিমাত্রায় রক্ষণাত্মকও যেন না হই।’
প্রথম দুই টেস্টেই নিজেদের প্রথম ইনিংসে অল্পতেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। পার্থে ১৫০ আর অ্যাডিলেডে ১৮০। তবে ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংস বড় সংগ্রহ গড়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ গিল, ‘দল হিসেবে, ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমরা শুরুতে বড় স্কোর করতে চাই। (অনুশীলনের সময়) এটা ছিল মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর একটি। প্রত্যেক ব্যাটসম্যানেরই নিজস্ব পরিকল্পনা আছে। তবে আমরা সম্মিলিতভাবেই প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর করার চেষ্টা করব।’