আইপিএলের এ মৌসুমটা স্মরণীয়ই কেটেছে গিলের
আইপিএলের এ মৌসুমটা স্মরণীয়ই কেটেছে গিলের

আরও এক মৌসুম এমন খেললে গিলকে টেন্ডুলকারদের কাতারে রাখবেন কপিল দেব

৮৯০ রান, গড় ৫৯.৩৩ , স্ট্রাইক রেট ১৫৭.৮০—এমন এক অবিশ্বাস্য আইপিএল মৌসুম কাটিয়েছেন শুবমান গিল। প্রতিভার বিচারে গিলকে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করতেন ভারতীয় ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

যে কারণে এমন গড়ে রান করা গিলের কাছ থেকে একেবারে অপ্রত্যাশিতও ছিল না। তবে গিল যে স্ট্রাইক রেটে এই আইপিএলে রান করেছেন, তা অনেককেই চমকে দিয়েছে, যাঁদের মধ্যে একজন ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়া অধিনায়ক কপিল দেব।

বিশেষ করে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৬০ বলে ১২৯ রানের ইনিংস গিলকে অনেকটা নতুনভাবে চিনিয়েছে। ১০টি ছক্কা ও ৭টি চার মারার পথে গিলের সামনে যেন মুম্বাইয়ের বোলাররা সেই ম্যাচে বল ফেলার জায়গাটাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেদিন মুম্বাইয়ের ডাগআউটে বসে গিলের ব্যাটিং দেখা কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও গিলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন

টুইটারে এই কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘এই মৌসুমে শুবমান গিলের পারফরম্যান্স ভুলে যাওয়ার মতো নয়; বিশেষ করে দুটি সেঞ্চুরি, যার অনেক প্রভাব ছিল। শুবমানের ব্যাটিংয়ের যেটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, সেটি টেম্পারমেন্ট, দ্বিধাহীন স্থিরতা, রানের জন্য খিদে আর কৌশলী রানিং বিটুইন দ্য উইকেট।’

গিলে মুগ্ধ কপিল দেব এই ব্যাটসম্যানকে রাখতে চান সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দর শেবাগ, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ ও বিরাট কোহলিদের কাতারে। তবে সে জন্য আরও এক মৌসুমে ঠিক এমন পারফরম্যান্স গিলের ব্যাট থেকে দেখতে চান ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। এবিপি নিউজে গিলকে নিয়ে কপিল দেব বলেছেন, ‘সুনীল গাভাস্কার এসেছে, শচীন টেন্ডুলকার এসেছে, এরপর বীরেন্দর শেবাগ, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, কোহলি...এখন গিল যে ব্যাটিং দেখাল, তাতে মনে হচ্ছে, সে এসব ক্রিকেটারদের পথ অনুসরণ করছে। তবে আমি তাকে আরও এক মৌসুম দেখতে চাই। অবশ্যই তার প্রতিভা আছে, তবে তার আরও পরিপক্বতা প্রয়োজন।’

আইপিএলের এই মৌসুমে তিনটা সেঞ্চুরি করেছেন গিল

এক মৌসুমে ৪ বিভাগে পুরস্কার জেতা প্রথম ক্রিকেটার গিল। গুজরাট টাইটানস ওপেনার জিতেছেন টুর্নামেন্ট–সেরা, সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক, সবচেয়ে বেশি চার ও মৌসুম–সেরা গেম চেঞ্জারের পুরস্কার। কপিলের দাবি, ‘যদি গিল আরও এক মৌসুম এমন খেলতে পারে, তাহলে কোনো সন্দেহ নেই, এসব ক্রিকেটারের কাতারে গিলও ঢুকে যাবে। কিন্তু আমি এখনই তাকে এই কাতারে রাখতে চাচ্ছি না। সম্ভবত তার আরও এক বছর সময় লাগবে।’