সাকিবের রংপুর রাইডার্সকে বিদায় করে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের ফরচুন বরিশাল
সাকিবের রংপুর রাইডার্সকে বিদায় করে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের ফরচুন বরিশাল

তামিমের কণ্ঠে সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রশংসা

খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৯ সালেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে বিপিএল ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তামিম ইকবাল। এবার ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক হিসেবেও বিপিএল ট্রফি জিতলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। কিন্তু তাঁরই দুই সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম তাঁদের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিপিএল ট্রফি জিততে পারেননি। সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকারের নামও জুড়ে দেওয়া যায়।

তামিম তাই বরিশালের এই শিরোপা জয় তাঁর চার সতীর্থকে উৎসর্গ করেছেন। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে বিপিএল ট্রফি পাশে নিয়ে তামিম বললেন, ‘অবশ্যই যেকোনো শিরোপা জেতা দারুণ ব্যাপার। তবে এবার একটু ভিন্ন কারণ ছিল। কারণ, আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিল, তরুণদের মধ্যে মিরাজ, সৌম্য বা অভিজ্ঞদের মধ্যে রিয়াদ ভাই, মুশফিক—ওরা লম্বা সময় ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু ওরা এই (বিপিএল) ট্রফিটা কখনো পায়নি।’

এরপর তামিম যোগ করেন, ‘আমি জানি মিরাজ, সৌম্য, তাইজুলদের সামনে অনেক সময় আছে অনেক ট্রফি জেতার। আমি জানি না রিয়াদ ভাই ও মুশফিক ভাই (কত দিন খেলবে)। যেভাবে তারা পারফর্ম করেছে, হয়তো চালিয়ে যাবে। অন্যদের মতো এত নয়। এই কারণে প্রেজেন্টেশনের সময় ওদের নিয়ে গিয়েছি। কারণ, তারা জেতার কাছাকাছি আগেও গিয়েছিল। এটা আসলে চ্যালেঞ্জ ছিল, তবে খুশি।’

বিপিএলের ট্রফি নিতে মিরাজ–সৌম্যদের আগে পাঠিয়েছেন তামিম

শিরোপা জয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অবদানও আলাদা করে উল্লেখ করেছেন। চোটের কারণে দীর্ঘদিন খেলার বাইরে ছিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। বিপিএলের মাঝপথে বরিশাল দলে যোগ দিয়ে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সাইফউদ্দিনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তামিম, ‘আমার মনে হয় সাইফউদ্দিনের ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে আজ শেষ ওভারে সে অসাধারণ বোলিং করেছে। যদি ১৫ রান হয়ে যেত, তাহলে ১৭০ রানে কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ম্যাচ হতো। আমরা তাকে নিয়ে জুয়া খেলেছি। সেটা কাজেও লেগেছে।’

জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের কথাও আলাদা করে উল্লেখ করলেন তামিম, ‘তাইজুলকে নিয়ে একটা কথা বলা উচিত নয়। আমরা যদি ড্রাফট থেকে তাইজুলকে দলে নিই, তখন একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি হাসছিল। সে খুব ভালো করেছে। মিরাজ, সে অসাধারণ। সে হয়তো বেশি বোলিং করেনি। কিন্তু যখন করেছে, তখন খুব ভালো করেছে।’

বিদেশিদের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্সের পারফরম্যান্সের কথা না বললেই নয়। টুর্নামেন্টের মাঝপথে বরিশালে যোগ দিয়ে খেলেছেন ৬ ম্যাচ, এর মধ্যে ফাইনালসহ ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩ ম্যাচে। বুঝতেই পারছেন, বরিশালের শিরোপা জয়ে তাঁর ভূমিকা কতটা ছিল। তামিমই বললেন, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচে তাঁর ইমপ্যাক্ট ছিল ব্যাট আর বলে।’

বিপিএলের মাঝপথে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে টুর্নামেন্টসেরার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছিলেন সাকিব

পুরো টুর্নামেন্টে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে তামিমকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তাওহিদ হৃদয় ও শরীফুল ইসলামের নামটা আলাদা করে উল্লেখ করলেন। সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেছেন তিনি, ‘শরীফুল খুবই ভালো বোলিং করেছে। হৃদয় তো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন। সে যখন রান করেছে, তখন দারুণ প্রভাববিস্তারী ছিল। সাকিব ভালো করেছে। ভালো শুরু হয়নি। তবে শেষের দিকে ভালো করেছে। তবে দুজনের নাম বললে হৃদয় আর শরীফুল।’