২০২২ কাতার বিশ্বকাপ একসূত্রে গেঁথেছিল বাংলাদেশ আর আর্জেন্টিনাকে। লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা দলকে কাতার বিশ্বকাপে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিল বাংলাদেশ। দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যম হয়ে সেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল দলে।
বাংলাদেশে নিজেদের দলের এমন বিপুল সমর্থন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। মুগ্ধ হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষ থেকে সেই দেশের ফুটবল কর্তারাও। কাতারে বসেই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ।
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর সেখানকার মতো বাংলাদেশের পথে পথেও নেমেছিল মানুষের ঢল। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এখানকার সমর্থকেরা ‘মেসি, আর্জেন্টিনা’ স্লোগানে গলা ফাটিয়েছে। সবকিছুই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে আর্জেন্টাইনদের মাঝে।
কাতার বিশ্বকাপের সেই ঘটনার পথ ধরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। সেই ঘটনার পর আর্জেন্টিনা ফুটবলেও বাংলাদেশকে নানাভাবে সাহায্য করার কথা বলেছিল। শোনা গিয়েছিল মেসিদের আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ সফরে আসবে এখানে খেলার জন্য।
সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলেও সম্প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহে ৩ জুলাই সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। সেই ধারাবাহিকতায় ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলা বাংলাদেশকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে শুভকামনা জানিয়েছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
এবার এএফএ শুভকামনা জানাল সাকিব-মুশফিকদের। ভারতের ধর্মশালায় আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ-অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ দল। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ-অভিযানের জন্য শুভকামনা জানিয়ে একটি পোস্ট করেছে এএফএ।
এএফএ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় দেওয়া পোস্টটিতে স্প্যানিশ ভাষায় যা লিখেছে সেটার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় এ রকম, ‘আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের যাত্রা শুরু করতে যাওয়ার আগে তাদের জন্য শুভকামনা রইল। চ্যাম্পিয়ন-সত্তাই তাদের জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবে।’