ইমরুল কায়েস
ইমরুল কায়েস

তিনবার চ্যাম্পিয়ন করা ইমরুলকে অবশেষে নিয়েছে কুমিল্লাই

বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক কে? এমন প্রশ্নে চোখ বন্ধ করেই মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম বলে দেওয়া যায়। তবে মাশরাফি যদি হন সফলতম অধিনায়ক তাহলে দ্বিতীয় সফলতম ইমরুল কায়েস। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের নেতৃত্বে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে ইমরুলের ভাগ্যটা ঠিক মাশরাফির মতো নয়। দল ইমরুলকে ধরে তো রাখেনইনি ড্রাফটেও দল পেলেন শেষের দিকে। যদিও তাঁকে শেষ পর্যন্ত সেই কুমিল্লাই দলে নিয়েছে।

ড্রাফটের ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন ইমরুল। ৫০ লাখ টাকার সম্মানীর তালিকায় আরও ছিলেন- আফিফ হোসেন, ইবাদত হোসেন ও রনি তালুকদার। এর মধ্যে ইবাদত চোটের কারণে আসন্ন বিপিএলে খেলতে পারছেন না। ডান হাঁটুর এসিএল লিগামেন্ট পুনঃস্থাপন করতে এ মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর হাঁটুতে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ম্যাচ খেলার মতো ফিট হতে ছয় থেকে ৯ মাস লাগতে পারে।

‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা বাকি দুই ক্রিকেটারকে অবশ্য দল পেতে তেমন একটা অপেক্ষা করতে হয়নি। ওপেনার রনি তালুকদারকে তো প্রথম ডাকেই দলে নিয়েছ রংপুর রাইডার্স। আর আফিফ হোসেনকে দলে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স।

অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জিতলেও ব্যাট হাতে ইমরুলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। গত আসরে ১৪ ম্যাচে ১৬.৭৬ গড়ে মাত্র ২১৮ রান করেছিলেন এই বাঁহাতি। কুমিল্লা প্রতিবারের মতো এবারও শক্তিশালী দল গড়েছে। বিপিএলে চারবারের চ্যাম্পিয়নদের দলে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, সুনীল নারাইন, রশিদ খান, মঈন আলীদের মতো ক্রিকেটাররা।

বিপিএলে ভালো খেলে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন রনি তালুকদার

রনি তালুকদার গত আসরেও ছিলেন রংপুর রাইডার্সে। গত মৌসুমে ১৩ ম্যাচে ১২৯ স্ট্রাইকরেটে ৪২৫ রান করে নজরে এসেছিলেন রনি। এই পারফরম্যান্সেই সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় দলেও। এবার রংপুর রাইডার্স নতুন করে দল সাজিয়েছে। যে দলের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলে আছেন বাবর আজম, মাতিশা পাতিরানার মতো ক্রিকেটাররা।

এবার খুলনার হয়ে খেলবেন আফিফ

অন্যদিকে আফিফ গত মৌসুমে খেলেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। ১১ ইনিংসে এই বাঁহাতি করেছিলেন ৩৪৪ রান। চলতি মৌসুমে তাঁর ঠিকানা খুলনা। আফিফ সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন রুবেল হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, হাবিবুর রহমান সোহান, মুকিদুল ইসলাম, আকবর আলীদের।