দুই বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরানো হয়েছিল। তবে তিন ম্যাচ পরই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ওপর থেকে যেন মন উঠে গেল শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজমেন্টের। এ মাসে জিম্বাবুয়েতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলে রাখা হয়নি অভিজ্ঞ এ অলরাউন্ডারকে। দলে অবশ্য জায়গা ধরে রেখেছেন আরেক অভিজ্ঞ দিমুথ করুনারত্নে।
এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছিলেন সাবেক অধিনায়ক ম্যাথুস। বিশ্বকাপের বছরে দলে ফেরা আশাজাগানিয়া বার্তাই নিশ্চয় দিয়েছিল তাঁকে। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ইনিংসে ১৮ ও ০ রানের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় ওয়ানডের দল থেকেই বাদ পড়েন। এবার তিনি হয়তো ২২১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষই দেখে ফেললেন।
আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ম্যাথুসের জায়গায় সুযোগ পাওয়া সাদিরা সামারাবিক্রমা খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। তৃতীয় ম্যাচেও রাখা হয় তাঁকে, যদিও ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি তাঁর। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলেও আছেন সামারাবিক্রমা।
ম্যাথুসের কপাল পুড়লেও দলে ফেরানোর যৌক্তিকতা ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন করুনারত্নে। দুই বছর পর ফিরে আফগানদের বিপক্ষে টানা দুটি ফিফটি করেছেন এ ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাথুস না থাকলেও করুনারত্নে এখনো পরিকল্পনায় আছেন, তাঁকে দলে রেখে সে বার্তাই দিয়েছে শ্রীলঙ্কার নির্বাচক কমিটি।
দাশুন শনাকার নেতৃত্বে ঘোষিত দলের বাকি নামগুলোয় অবশ্য তেমন কোনো চমক নেই। দলটির অবশ্য বড় শঙ্কার একটি জায়গা পেস আক্রমণ। দীর্ঘদিনের চোট কাটিয়ে ফিরেছেন দুষ্মন্ত চামিরা, যদিও আফগানিস্তান সিরিজে উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ফিটনেস নিয়ে সমস্যা আছে লাহিরু কুমারারও। ‘বেবি মালিঙ্গা’ মাতিশা পাতিরানাকেও রাখা হয়েছে দলে। এ ছাড়া পেসার হিসেবে আছেন কাসুন রাজিতা।
১৯ জুন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা। বাছাইপর্বে ১০টি দলের মধ্যে অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টিকিট পাবে শুধু এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা দুটি দল।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শ্রীলঙ্কা দল
দাশুন শানাকা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), পাতুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, চারিত আসালাঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চামিকা করুনারত্নে, দুশান হেমন্ত, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, লাহিরু কুমারা, দুষ্মন্ত চামিরা, কাসুন রাজিতা, মাতিশা পাতিরানা, মহীশ তিকশানা।