বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রায় প্রতিটি বিষয় নিয়েই যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান মাথা ঘামান, এটাও প্রায় সবারই জানা। সমসাময়িক আর কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডপ্রধানকে এতটা সরব দেখা যায় না। দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক হিসেবে বিসিবি সভাপতির এমন দল-সংশ্লিষ্টতা দীর্ঘ সময় এবং কাছ থেকেই দেখেছেন সাকিব আল হাসান। দেশের ক্রিকেট নিয়ে নানা সময়ে আলোচিত-সমালোচিত বোর্ডপ্রধানের এই তৎপরতাকে কীভাবে দেখেন অধিনায়ক?
এ ধরনের প্রশ্ন বেশির ভাগ ক্রিকেটারই হয়তো এড়িয়ে যাবেন। তবে ক্রীড়াভিত্তিক চ্যানেল টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব জবাব দিয়েছেন সোজাসাপটা। তিনি বলেন, বিসিবিপ্রধান নাজমুলের সঙ্গে কাজ করতে কখনোই সমস্যা হয়নি তাঁর, ‘আমার সঙ্গে (সম্পর্ক) কখনো অস্বস্তির হয়নি। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো। আমি ওনাকে বুঝি। উনি আমাকে বোঝেন। আমাদের মধ্যে কথা হয়, এমন হলে ভালো হতো, অমন হলে ভালো হতো। যে আলোচনাটা হয়, ফলদায়ক হয়। আমার কাছে (তাঁর সঙ্গে কাজ করা) সমস্যা হয়নি কখনো।’
নাজমুলের আগে বিসিবি সভাপতি ছিলেন এখনকার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনিও জাতীয় দলের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই জড়িত ছিলেন বলে জানান সাকিব। তবে নাজমুল অনেক বেশি জড়িত বলে মনে করেন সাকিব, ‘আমি যাঁদের বোর্ড সভাপতি হিসেবে পেয়েছি, বেশির ভাগ সময়ই এমন ছিল। কামাল ভাইও দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। হয়তো তখন এত মিডিয়া ছিল না, উনি হয়তো মিডিয়াতে অত কথা বলেন নাই। যে কারণে জানা যেত না। কিন্তু দলে কী হচ্ছে, এসবে উনিও জড়িত ছিলেন। আর পাপন ভাই যেটাকে বলে ইন হ্যান্ডস জড়িত। অনেক বেশি যুক্ত। এমন বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাওয়াও কঠিন।’
অনেক বেশি জড়িত থাকা বোর্ডপ্রধান ভালো কি মন্দ, প্রশ্ন করা হলে সাকিবের চটজলদি জবাব, ‘দুটোই। নিতে পারলে ভালো। যারা নিতে পারে না, তাদের জন্য অনেক ডিফিকাল্ট।’
নাজমুল হাসানের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে তাঁর মধ্যে যদি একটা ভালো দিক খুঁজতে বলা হয়, কোনটিকে বেছে নেবেন সাকিব? ‘বিশেষভাবে জাতীয় দলের জন্য সবকিছু করতে রাজি আছেন’—বলছিলেন সাকিব। আর মন্দ দিক কোনটি?
হাসতে হাসতে সাকিবের জবাব, ‘মে বি ইন্টারভিউ (হয়তো সাক্ষাৎকার)’।