ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে প্রথম দিনে ৬০০ উইকেটের ‘বিশেষ’ মাইলফলক হয়ে গেছে স্টুয়ার্ট ব্রডের। সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসনের পর দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট পেলেন ব্রড। সব মিলিয়ে ইতিহাসে পঞ্চম বোলার তিনি। ট্রাভিস হেডকে ফিরিয়ে ব্রড নিয়েছেন ৬০০তম উইকেট। সে সময় তিনি বোলিং করছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন-প্রান্ত থেকে। ৬০০ উইকেটের মাইলফলকের পর ব্রডের ক্যারিয়ারের কিছু সংখ্যা-
ব্রডের ৬০০তম উইকেটটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর ১৪৯তম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার তালিকায় তিনিই এখন ১ নম্বরে। ছাড়িয়ে গেছেন ইয়ান বোথামের ১৪৮টি উইকেটের রেকর্ড। অ্যাশেজে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় তাঁর ওপরে আছেন শেন ওয়ার্ন, ডেনিস লিলি ও গ্লেন ম্যাকগ্রা।
স্টুয়ার্ট ব্রডের প্রথম টেস্ট উইকেট ছিলেন চামিন্দা ভাস। ২০০৭ সালে কলম্বোতে অভিষেক টেস্টে এক ইনিংস বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন ব্রড, ফিরিয়েছিলেন ভাসকে।
ক্যারিয়ারে দুটি হ্যাটট্রিক আছে ব্রডের। নিজে আবার পিটার সিডলের হ্যাটট্রিকের তৃতীয় শিকারও ছিলেন। বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক আছে, ব্যাটসম্যান হিসেবে অন্য কারও হ্যাটট্রিক ক্রমের তৃতীয় শিকার-এ তালিকায় ব্রড ছাড়া আছেন শুধু শেন ওয়ার্ন।
প্রতিপক্ষ দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ৮টি উইকেট ব্রড পেয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাদের বিপক্ষে খেলেছেন ৩টি টেস্ট। বাংলাদেশের সঙ্গে তিনটি ম্যাচই তিনি খেলেছেন বাংলাদেশের মাটিতেই।
ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠ ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
ক্যারিয়ারে ১০ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন ব্রড, সিরিজসেরা হয়েছেন ২ বার।
ব্রডের সর্বোচ্চ শিকার ডেভিড ওয়ার্নার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ বার করে তিনি আউট করেছেন স্টিভেন স্মিথ ও মাইকেল ক্লার্ককে।
এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট ব্রড নিয়েছিলেন ২০১৩ সালে।
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি উইকেট ব্রড নিয়েছেন লর্ডসে। এ মাঠে তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু অ্যান্ডারসনের (১১৯)।
স্বীকৃত পেসার হিসেবে ক্যারিয়ারে ব্রডের ১৬৬ ম্যাচের চেয়ে বেশি খেলার রেকর্ডও শুধু অ্যান্ডারসনের। ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যান্ডারসন খেলছেন ১৮২তম ম্যাচ।
দুজনেরই ৫০০তম উইকেট ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রেইগ ব্রাফেট। জেমস অ্যান্ডারসনের ৬০০তম উইকেট ছিলেন পাকিস্তানের আজহার আলী, ক্যাচ ধরেছিলেন জো রুট। ব্রডের ৬০০তম উইকেটও এসেছে রুটের ক্যাচেই। ব্রডের বোলিংয়ে ফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭টি ক্যাচ নিয়েছেন রুটই।
ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের প্রথম দিন পর্যন্ত ১২৯৩ ওভার মেডেন করেছেন ব্রড। ক্যারিয়ারে তাঁর চেয়ে বেশি মেডেন করেছেন ছয়জন—মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন, জেমস অ্যান্ডারসন, অনিল কুম্বলে, গ্লেন ম্যাকগ্রা ও ল্যান্স গিবস।