ম্যাচ শুরুর প্রায় ৪০ ঘণ্টা আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের একাদশ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। শান মাসুদের নেতৃত্বাধীন দলে আছেন চারজন পেসার, ছয়জন ব্যাটসম্যান ও একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
দলে নেই একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারও। বোঝাই যাচ্ছে, শুধু পেস দিয়েই বাংলাদেশকে কুপোকাত করতে চাইছে পাকিস্তান। কেন এমন পরিকল্পনা টেস্ট শুরুর এক দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ বলেছেন, ‘যখনই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি, রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশন পেসার ও ব্যাটসম্যানদের সহায়তা করেছে। স্পিন বোলিং ওই অর্থে কোনো হুমকি নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন চলেছে, তা মাথায় রেখেই এগোতে চেয়েছি। নতুন কিছু করতে চাই না, রাওয়ালপিন্ডিতে সাধারণত যে সুবিধা পাওয়া যায় না।’
মাসুদ কথাটা হয়তো পরিসংখ্যান মাথায় রেখেই বলেছেন। টেস্টেও এখানে পেসার ও ব্যাটসম্যানেরা সব সময় বাড়তি সুবিধা পান। সর্বশেষ ৫ টেস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পেসাররা উইকেট নিয়েছেন ৭৭টি। উইকেটপ্রতি রান দিয়েছেন ৩৫ করে, ওভারপ্রতি ৩.১৮। আর স্পিনাররা ৫ টেস্টে তারা উইকেট নিয়েছেন ৪৬টি। একটি উইকেট নিতে রান খরচ করেছেন ৫৫.৬৭ করে। স্পিনারদের চেয়ে পেসাররা যে রাওয়ালপিন্ডিতে বেশি সুবিধা পান, সেটা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। সর্বশেষ ৫ টেস্টে এখানে ব্যাটসম্যানদের গড় প্রায় ৪২।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ সামলাবেন চার পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলী। মির হামজাকে না নিয়ে মোহাম্মদ আলী কেন একাদশে এই প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বলেছেন, ‘কে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে বেশি সহায়তা করতে পারবে, সেই বিষয়টা আমরা বিবেচনা করেছি, আশা করছি সে আগামীকাল নতুন বলেও বোলিং করবে। আমরা বিশ্বাস করি মোহাম্মদ আলী এই ভূমিকার জন্য ভালো হবে। সে উইকেটের ওপর জোরে বল করে, সিমের সঙ্গে দুই দিকেই বাতাসে সুইং করাতে পারে। অতিরিক্ত গতিও আছে। কেউ আরেকজনের চেয়ে ভালো বিষয়টা আসলে এমন নয়, বরং এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কে কন্ডিশনের সঙ্গে বেশি মানানসই।’
বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায়।