এক দিন পরই পা দেবেন ৪১ বছরে। এই বয়সে বেশির ভাগ ক্রিকেটারকে দেখা যায় কোচিংয়ে কিংবা ধারাভাষ্য দিতে। আর পেসার হলে তো কথাই নেই। এই বয়সে পেসারদের খেলার কথা ভাবাই তো দুঃসাহসের!
কিন্তু অ্যান্ডারসন সম্ভবত ভিন্ন ধাতুতে গড়া মানুষ। ৪১ বছর বয়সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই পেসারের অবসরে কোনো আগ্রহ নেই, সেটাও এবারের অ্যাশেজে বিবর্ণ থাকার পরও। এখনো নাকি অনেক কিছু দেওয়ার আছে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসারের। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বিবিসিকে এমন কথাই জানিয়েছেন অ্যান্ডারসন।
অ্যান্ডারসন এবারের অ্যাশেজে অনেকটাই রংহীন। এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁকে খেলানোর পক্ষে বিপক্ষেও শোনা যাচ্ছে নানা কথা। এই বয়সে এমনিতেই অবসরের প্রসঙ্গ আসে, সঙ্গে এমন অফ ফর্মের কারণে প্রশ্নটা আরও বেশি করে আসছে, এবার কি খেলাটাকে বিদায় বলবেন অ্যান্ডারসন?
এ প্রশ্নের জবাব ওভাল টেস্ট শুরু হওয়ার আগেও দিয়েছেন অ্যান্ডারসন। টেলিগ্রাফে লেখা একটি কলামে অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, এখনো নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের একজন হিসেবে অনুভব করছেন। এখনো অবসরের কথা ভাবছেন না তিনি। গতকাল বিবিসিকেও একই কথা বলেছেন টেস্টে ৬৯০ উইকেট নেওয়া এই পেসার, ‘অবসরের কথা যদি বলি, খুব শিগগির এমন কিছুর প্রতি আমার আগ্রহ নেই। আমার মনে হয় এখনো অনেক কিছু দেওয়া আছে।’
অ্যান্ডারসন আরও বলেছেন, ‘বোলারদের বয়স ৩০ বছর হলেই মানুষ জানতে চায় আর কত দিন বাকি আছে। কিন্তু গত তিন থেকে চার বছর আমি আমার সেরা সময়ের মতোই বল করেছি। আমার মনে হয় এখনো আমার নিয়ন্ত্রণ আছে, শরীর সায় দিচ্ছে, সামর্থ্যও আগের মতোই।’
ইংলিশ এই পেসার কথাটা মন্দ বলেননি। এই বয়সে ঠিকই নিজের সেরাটাই দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই তো গত ফেব্রুয়ারিতেও আইসিসি টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বরে উঠেছিলেন অ্যান্ডারসন। নিউজিল্যান্ডে ১৫ বছর পর ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচ জয়ে বড় অবদান রেখেছেন অ্যান্ডারসন। তাই এবারের অ্যাশেজটা হয়তো অ্যান্ডারসনের ফুরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত নয়, অফ ফর্মের ইঙ্গিত।