শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথ থেকে আগেই ছিটকে ফেলেছিলেন ভারতের বোলাররা
শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথ থেকে আগেই ছিটকে ফেলেছিলেন ভারতের বোলাররা

ভারতের জয়ে ‘অতৃপ্তি’ও থাকল

রান-পাহাড় নয় ‘পর্বত’ গড়েছিল ভারত। ৫০ ওভারের ম্যাচে ৭ উইকেটে ৩৭৩ রানের লক্ষ্যকে আর কী বলা যায়! এই ‘পর্বত’ ডিঙিয়ে যেতে হলে শ্রীলঙ্কাকে যেমন ব্যাটিং করতে হতো সেটি শুরু থেকেই হয়নি।

১৪ ওভারের মধ্যে ৬৪ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়াই স্বাভাবিক। ঘটেছেও ঠিক তাই। ৫০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩০৬ রানে থেমেছে শ্রীলঙ্কা। ৬৭ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। শ্রীলঙ্কা লড়াই করলেও ম্যাচ তো হেরেছে তার আগেই!

গুয়াহাটিতে আজ প্রথম ওয়ানডে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি (১১৩), রোহিত শর্মার ৬৭ বলে ৮৩ ও শুবমান গিলের ৬০ বলে ৭০ রানের ইনিংসে রানের ‘পর্বত’ দাঁড় করিয়েছিল ভারত। এক সময় তো ভাবা হচ্ছিল, ভারতের সংগ্রহ হয়তো চার শ টপকে যাবে। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার বোলাররা ৭৯ রান দিয়ে ভারতের ব্যাটসম্যানদের আর সেই লক্ষ্যটা পূরণ করতে দেননি।

তবে ভারতের ইনিংসটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে কোহলির ১ ছক্কা ও ১২ চারে ৮৭ বলে সাজানো ১১৩ রানের ইনিংসে। ওয়ানডেতে এটি তাঁর ৪৫তম সেঞ্চুরি। শচীন টেন্ডুলকারের এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে আর মাত্র ৫টি সেঞ্চুরি চাই কোহলির। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এটি তাঁর ৭৩তম সেঞ্চুরি।

ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন উমরান মালিক

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই আভিস্কা ফার্নান্দো ও কুশল মেন্ডিসকে হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। দুটো উইকেটই নেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। স্কোরবোর্ডে রান তখন ৩৮। শ্রীলঙ্কা তখনই মোটামুটি রান তাড়া করে জয়ের পথ থেকে ছিটকে পড়েছিল। তবু পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করায় লঙ্কানরা হয়তো প্রশংসিত হবেন। কিন্তু ম্যাচের মজাটা চলে গিয়েছিল।

শ্রীলঙ্কা লড়াই করেছে ঠিকই, কিন্তু জয়ের পথে ফিরে আসার মতো ছিল না সে লড়াই। শুরুতে ৮০ বলে ৭২ রান করা ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা এবং মাঝে অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৮৮ বলে অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংসে তিন শ ছুঁইছুঁই সংগ্রহে গিয়ে থেমেছে শ্রীলঙ্কা।

চতুর্থ উইকেটে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে নিশাঙ্কার ৭২ রানের জুটিতে পুরো ৫০ ওভার খেলার ভিত পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে ভারতের বোলারদের সবচেয়ে বিপক্ষে বড় চমক দেখিয়েছেন শানাকা-কাসুন রাজিতা জুটি। ৩৮তম ওভারে ২০৬ রানে ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার।

সেঞ্চুরি তুলে নেন শানাকা

এখান থেকে নবম উইকেট-জুটিতে ক্রিজে জেঁকে বসেন শানাকা-রাজিতা। ভারতের বোলাররা দ্রুত জয় তুলে নিয়ে ফিরতে চাইলেও অপেক্ষায় রেখেছিলেন এই জুটি। অলআউট হননি। শেষ পর্যন্ত ৭৩ বলে ১০০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শুধু অলআউট না হওয়ার সান্ত্বনা পুরস্কারই পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ১৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন রাজিতা। আর ভারত? জয় তো নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই, শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করতে না পারার অতৃপ্তি হয়তো থাকবে।

ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন পেসার উমরান মালিক। ২ উইকেট মোহাম্মদ সিরাজের।