টানা তিন ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়
টানা তিন ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়

তৌহিদের টানা তিন, সিলেটের টানা চার

আরও একটি ম্যাচ। আরও একটি তৌহিদ হৃদয়ের ‘স্পেশাল’ ইনিংস। আর সে ইনিংসের সৌজন্যে সিলেট স্ট্রাইকার্স পেয়ে গেল আরও একটি জয়। বিপিএলের ঢাকা পর্বে চার ম্যাচ খেলেছে মাশরাফির সিলেট। সবকটিতেই জিতেছে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন তৌহিদ। তিনটিতেই  ফিফটি পেয়েছেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের এই সদস্য। তৌহিদ এই তিন ম্যাচেই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।  

আজ ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে খেলা ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংসটি তৌহিদের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের  ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ওপেনার নাজমুল হোসেনও ৩৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। দুজন মিলে সিলেটের রানটাকে নিয়ে গেছেন দুই শর ওপরে।  সিলেট করেছে ৮ উইকেটে ২০১ রান। রান তাড়ায় ঢাকা থামে ৯ উইকেটে ১৩৯ রান তুলে। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। ৬২ রানের বড় জয়ের পর ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে এখন সিলেট।

১৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি

বড় রান তাড়ায় ঢাকার পাওয়ার প্লেকে কাজে লাগাতে হতো। কিন্তু মাশরাফি  ও আমির সেটি হতে দেননি। দুজনই প্রথম স্পেলে উইকেট পেয়েছেন। তাতে পাওয়ার প্লে’তেই ঢাকার তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আউট। এরপর ঢাকাকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটি। দুজন মিলে ৪৭ বল খেলে ৭৭ রান যোগ করেন। কিন্তু সেটা ম্যাচ জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। মিঠুন ২৮ বলে ৪২ রান করেছেন। নাসিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ রান করেছেন দিলশান মুনাবীরা।

সিলেটের সব পাওয়ার ম্যাচে দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে তৌহিদের চোট। ইনিংসের ১২তম ওভারে পয়েন্ট বাউন্ডারিতে নাসিরের কাট শট থামাতে গিয়ে আঙুলে চোট পান তৌহিদ। রক্তাক্ত হাত নিয়ে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়।

২ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ

সিলেটের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল না। ঢাকার পেসার তাসকিনের বলে কট বিহাইন্ড হন ৬ রান করা পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। তবে নাজমুল ও তৌহিদের জুটি জমে যায় ঠিকই। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ বলে দুজন যোগ করেছেন ৮৮ রান।

১২তম ওভারে আল আমিন হোসেনের বলে নাজমুল ক্যাচ তুলে আউট হওয়ার আগে নাজমুল ৫৭ রান করেছেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কায়। নাজমুল আউট হওয়ার পর শটের ভান্ডার খুলে বসেন তৌহিদ। ৩২ বলে ফিফটি করতে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ফিফটির পর আর চার মারেননি, মেরেছেন আরও ৪টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৫টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানোর ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। ততক্ষণে এবারের বিপিএলের প্রথম ২০০ রানের ভিত পেয়ে যায় সিলেট।