কী হলো ইংল্যান্ডের?
এমন প্রশ্ন শুনেই চোখ কপালে তোলার কারণ নেই। ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এ সংস্করণে সাম্প্রতিক রেকর্ড খুব একটা সুবিধার নয়ও। সর্বশেষ ১২ ওয়ানডের মধ্যে ৮টিতে হেরেছে, জিতেছে ৩টিতে। সর্বশেষ চার সিরিজের একটিও জেতেনি ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে দেশের মাটিতে টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, সর্বশেষ হারিয়েছে ভারতকে। ২০১৬ সালে সর্বশেষ যাদের কাছে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ, সে দলের নাম আবার ইংল্যান্ড। আগামীকাল থেকে শুরু ওয়ানডে সিরিজে কারা এগিয়ে, অন্তত পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে ভাবলে সেটির উত্তর এতটা সরল নয়।
অবশ্য মঈন আলীকে ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক রেকর্ডের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হলে বলে দিলেন সে কথাটিই, যার কারণে এমন কন্ডিশনেও ইংল্যান্ড দারুণ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীই মনে করতে হবে—তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!
আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বললেন, ‘কারা ফেবারিট তাতে কিছু যায় আসে না। বাংলাদেশ নিজেদের কন্ডিশনে বেশ ভালো হতে পারে। আমরা জানি, তারা কেমন হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে আমরাও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এর আগেও ভালো করেছি।’
অবশ্য ইংল্যান্ডের ওয়ানডেতে সাম্প্রতিক সময়ের এমন পারফরম্যান্সের একটা কারণ হতে পারে খেলোয়াড়দের না থাকাও। ঠাসা সূচি, চোট ইংল্যান্ডকে সব সময় সেরা দলটা পেতে দেয়নি। সর্বশেষ চার সিরিজেই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ২৭ জন!
সাম্প্রতিক রেকর্ডের পেছনে সেটিও কাজ করে থাকতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মঈন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা সেরা দলটা পাচ্ছি না। তবে এবার (মার্ক) উড আছে, জফরা (আর্চার) এসেছে। উইল জ্যাকসও নতুন এসেছে। দলটা রোমাঞ্চকর। তাই সিরিজ শেষের আগ পর্যন্ত কে ফেবারিট তাতে কিছু যায় আসে না।’
ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল যখন আগামীকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করছে, তখন তাদের টেস্ট দল আজ ওয়েলিংটনের রোমাঞ্চকর ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে ১ রানে। প্রায় একইসঙ্গে দুটি আন্তর্জাতিক সিরিজই বলে দেয়, ইংল্যান্ডের স্কোয়াডের ‘গভীরতা’ কেমন।
কাছাকাছি সময়ে দুটি আন্তর্জাতিক সিরিজ—এখন এটিই ‘স্বাভাবিক’ কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটিই স্বাভাবিক হবে। শুধু আমাদের জন্য নয়, প্রায় সব দেশের ক্ষেত্রেই। সবাই এমন করবে। অবশ্যই আমাদের সূচি অনেক কঠিন, তবে আমাদের যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় আছে এভাবে চালানোর জন্য এবং এখানেও আমাদের বেশ ভালো একটা দল আছে। সব সংস্করণেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল খুবই সৌভাগ্যপূর্ণ ও আশীর্বাদপুষ্ট একটা অবস্থানে আছে এ মুহূর্তে।’
সেই সৌভাগ্য আগামীকাল থেকে শুরু সিরিজে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের জন্য ফিরবে কি না, প্রশ্ন সেটিই।