অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে টুর্নামেন্টটি তখন স্থগিত করা হয়। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ওই সময় বাকি বিশ্ব থেকে নিজেদের প্রায় বিচ্ছিন্ন করেও রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া।
দুই বছর পর এবারের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
করোনাভাইরাস নিয়ে আগের সেই কড়াকড়ি আর নেই। নেই কোয়ারেন্টিন বা করোনা পজিটিভ হওয়ার পর আইসোলেশনের বাধ্যবাধকতাও। এমনকি ম্যাচের আগে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষাও নেই।
আইসিসি জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়া কোনো খেলোয়াড় সুস্থবোধ করলে খেলতেও পারবেন। দুই বছর আগে কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়ার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই প্রথম বৈশ্বিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যেখানে করোনা নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। টুর্নামেন্ট চলবে করোনা-পূর্ব সময়ের মতোই।
কোভিড-১৯ নিয়ে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করেছিল, তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ছিল অন্যতম। টিকা নিতে রাজি না হওয়ায় সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে পারেননি সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। দেশটিতে গেলেও ফেরত পাঠানো হয় তাঁকে। করোনায় আক্রান্ত হলে গত সপ্তাহ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া জুড়ে বাধ্যতামূলক আইসোলেশনের নির্দেশনা জারি ছিল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগ মুহূর্তে যা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে কোনো দলকে কোয়ারেন্টিন করতে হয়নি। আইসিসি আগেই জানিয়েছিল, এবার করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক থাকছে না।
রোববার আইসিসির একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানায়, পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়লেও খেলতে বাঁধা নেই।
সেই সূত্রকে পত্রিকাটি উদ্ধৃত করেছে এভাবে, ‘যদি কোনো খেলোয়াড় কোভিড পজিটিভ হয়েও খেলার মতো সুস্থ বোধ করেন, তাহলে খেলতে পারবেন। জৈব সুরক্ষা পরামর্শক দলের বিধি অনুসরণ করে মাস্ক পরতে হবে আর সতীর্থদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখলেই চলবে।’
ক্রিকেটবিশ্ব অবশ্য এরই মধ্যে করোনা নিয়ে খেলতে নামার ঘটনা দেখে ফেলেছে। আগস্টে ইংল্যান্ডের মাটিতে কমনওয়েলথ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেটের ফাইনালে ঘটেছিল সেই ঘটনা।
কোভিড-পজিটিভ হয়েও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তাহিয়া ম্যাকগ্রা। শুরুতে সতীর্থদের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলেও উইকেট ও জয় উদযাপনের সময় আর সেই দূরত্ব দেখা যায়নি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোভিড-১৯ নিয়ে আইসিসির একমাত্র নির্দেশনা হচ্ছে, কোনো খেলোয়াড় পজিটিভ হলে তাঁর দলের চিকিৎসকই নিশ্চিত করবেন, খেলোয়াড়টি মাঠে নামার জন্য উপযুক্ত কি না।
তবে দল চাইলে করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড়ের জায়গায় স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারবে। আবার আক্রান্ত খেলোয়াড়ও নেগেটিভ হয়ে দলে যোগ দিতে পারবেন।