টস-ইংল্যান্ড
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৮/২ (লিটন ৭৩, শান্ত ৪৭*, রনি ২৪, রশিদ ১/২৩, জর্ডান ১/২১) ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪২/৬ (ম্যালান ৫৩, বাটলার ৪০, তানভীর ১/১৭, তাসকিন ২/২৬, সাকিব ১/৩০, মোস্তাফিজ ১/১৪)
ফল—বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী ও সিরিজ ৩-০-তে জয়ী
যেভাবে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ, পুরো ম্যাচের আপডেট, বিশ্লেষণ পড়ুন নিচে—
অবশেষে টসে জিতেছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন জস বাটলার।
অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের। একাদশে ফিরেছেন শামীম হোসেনও। এ দুজনকে জায়গা করে দিয়েছেন আফিফ হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
অপরিবর্তিত আছে ইংল্যান্ড একাদশ। মানে কোনো ম্যাচ না খেলেই সফর শেষ করলেন বাঁহাতি পেসার রিস টপলি।
ইংল্যান্ড একাদশ
ফিল সল্ট, ডেভিড ম্যালান, জস বাটলার (অধিনায়ক), বেন ডাকেট, মঈন আলী, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, রেহান আহমেদ ও জফরা আর্চার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৭৯তম পুরুষ ক্রিকেটার হলেন তানভীর ইসলাম। সাবেক অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীসের হাত থেকে অভিষেক ক্যাপ নিয়েছেন তিনি।
জফরা আর্চারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল, তুলে কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরেছেন লিটন। ইনিংসে লিটনের এটি দ্বিতীয় চার, এর আগে রনি তালুকদারও মেরেছেন একটি। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও রান খুঁজে ফেরা লিটনকে এখনো তেমন আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি, ১৪ রান করতে খেলে ফেলেছেন ১৫ বল। তবে ওপেনিংয়ে ইতিবাচক শুরুই পেয়েছে বাংলাদেশ, প্রথম ৪ ওভারে উঠেছে ৩১ রান।
আদিল রশিদ সাধারণত উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে জস বাটলারের বড় অস্ত্র। সেই অস্ত্রকে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ২ ওভার করিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, এখনো ব্রেকথ্রুর দেখা অবশ্য মেলেনি। রশিদকে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টেনে সুইপ করে চার মেরেছেন লিটন। ৫ ওভারে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ৩৯।
জফরা আর্চার বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। মিরপুর উল্লাসে ফেটে পড়েছে। প্রেসবক্সে থাকা ইংলিশ সাংবাদিকদের হাতও চলে এলো মুখ ও মাথার কাছে। রেহান আহমেদের মিস ছিল এমনই অবিশ্বাস্য!
আর্চারকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছিলেন রনি, শর্ট থার্ডম্যানে সহজতম ক্যাচটি ফেলেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা রেহান। ১৭ রানে জীবন পেয়েছেন রনি। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৪৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
ঠিক পরের ওভারেই রেহানকে আক্রমণে এনেছেন বাটলার। ওভারের শেষ বলে কাট করে চার মেরেছেন লিটন, ওপেনিং জুটিতেই ৫০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
করেছিলেন রিভার্স সুইপ, কিন্তু ফিরতি ক্যাচ গেছে বোলারের কাছে! আদিল রশিদের বলে অদ্ভুতভাবে আউট হয়েছেন রনি তালুকদার। ১৭ রানে জীবন পাওয়া বাংলাদেশ ওপেনার থেমেছেন ২৪ রানে, ৫৫ রানে ভেঙেছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি।
স্যাম কারেনের অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ বল, লিটন শুধু ব্যাটের ফেসটা ওপেন করেছেন। সে শটই খুঁজে নিয়েছে গ্যাপ, হয়েছে চার। লিটনের ইনিংসে ষষ্ঠ বাউন্ডারি এটি। কারেন এরপর করেছেন পায়ের নো-বল, ফ্রি হিটে করেছেন ওয়াইড। রনি ফিরলেও তেমন একটা ছন্দপতন হয়নি বাংলাদেশ ইনিংসে, প্রথম ১০ ওভারে উঠেছে ৭৭ রান। আরেকবার দারুণ একটি ভিত স্বাগতিকদের।
শর্ট বলে আড়াআড়ি মিডউইকেট দিয়ে চার। এরপর ফুললেংথ বল, এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে দারুণ টাইমিংয়ে আরেকটি চার। ছন্দে লিটন দাস! ক্রিস জর্ডান ওভারটা শুরু করেছিলেন ভালোভাবে, তবে লিটন পালটা জবাব দিলেন দুই চারে। শেষ বল ছিল শর্ট, তাতে হেলমেটে আঘাত পেয়েছেন লিটন। নিয়ম অনুযায়ী কনকাশন পরীক্ষা হয়েছে, তবে ঠিকই আছেন লিটন।
পরের ওভারে রেহানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পেয়েছেন লিটন, ৪১ বলে। আগের ৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৮ রান করা লিটন ফিরলেন রানে।
অফ স্পিন, স্লগ করে ছয়। লেগ স্পিন, স্লগ করে ছয়। নাজমুল হোসেন খেলছেন ইংলিশ স্পিনারদের নিয়ে। মঈন আলীর পর এবার তাঁর ছক্কার শিকার রেহান আহমেদ। ১৩তম ওভারে ১০০ রানও পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ, এখন ১ উইকেটে ১০৮ রান। বাংলাদেশকে উঁকি দিচ্ছে বড় স্কোর।
পরের ওভারে জীবন পেয়েছেন লিটন, আবারও আর্চারের বলে! এবার তুলে মেরেছিলেন লিটন, মিডউইকেট থেকে বাঁদিকে ছুটে বলের নিচে ভালোভাবেই গিয়েছিলেন বেন ডাকেট। তবে সহজ ক্যাচ ফেলেছেন তিনি। লিটন জীবন পেয়েছেন ৫১ রানে।
আর্চার হাসছেন। হাসি ছাড়া আপাতত কীইবা করার আছে তাঁর!
জফরা আর্চারকে চারের পর ছক্কা, চারটি আউটসাইড-এজে হলেও ছক্কায় লিটনের নিয়ন্ত্রণ ছিল পুরোপুরি। রশিদকে এরপর ইনসাইড-আউটে মেরেছেন চার। লিটন পেরিয়ে গেছেন ৭০, ১৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৩১ রান বাংলাদেশের। এখান থেকে কতদূর যাবে স্বাগতিকেরা?
১৫ বল ধরে নেই বাউন্ডারি, লিটন ফিরলেন সে চাপেই। জর্দানকে পুল করেছিলেন, তবে মিডউইকেটে থাকা ফিল সল্টকে পার করাতে পারেননি। ৫১ রানে জীবন পাওয়া লিটন থামলেন ৭৩ রানে। শেষ পর্যন্ত থাকলে হয়তো সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও থাকতো ভালোভাবেই। তবে রান খুঁজে ফেরা লিটনের ক্যারিয়ারসেরা ৭৩ রানের ইনিংসে দারুণ খুশিই হওয়ার কথা। খুশি হওয়ার কথা বাংলাদেশেরও। যদিও ইংল্যান্ড তৈরি করছে চাপ।
নাজমুলের সঙ্গে লিটনের জুটিতে উঠেছে ৮৪ রান, আগে ব্যাটিং করে তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ।
১৫ ওভারশেষেও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১৩১ রান। তবে তারা থামল ১৫৮ রানেই। মানে শেষ ৫ ওভারে এসেছে মাত্র ২৭ রান, এ সময়ে বাংলাদেশ মারতে পেরেছে মাত্র একটি বাউন্ডারি—জর্ডানকে ফ্লিক করে মেরেছিলেন নাজমুল। চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রায় একইরকম অবস্থা ছিল ইংল্যান্ডেরও।
সিরিজে প্রথমবারের মতো টসে হেরে ব্যাটিংয়ে আসা বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। লিটন এরপর পেয়েছেন ফিফটির দেখা, ইংল্যান্ডের পিচ্ছিল ফিল্ডিংয়ের সৌজন্যে বড়ও করেন ইনিংস। দারুণ ফর্মে থাকা নাজমুলও শুরুটা করেছিলেন ঝোড়ো। তবে বাংলাদেশ স্কোরটা সেভাবে বড় করতে পারল না। প্রথম ২১ বলে ৩২ রান করা নাজমুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৪৭ রানে। সাকিব ৬ বল খেলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি।
পাওয়ারপ্লেতে ২ ওভার করা রশিদ ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৩ রান। উইকেটের দেখা পেয়েছেন জর্ডানু, ৩ ওভারে তিনি দিয়েছেন ২১ রান।
প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন ডেভিড ম্যালান, এক বল পরই তানভীরের শিকার ফিল সল্ট। রাউন্ড দা উইকেট থেকে করা বলটা টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল, ড্রাইভ করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন সল্ট। উইকেটের পেছনে বাকি কাজটা সেরেছেন লিটন, প্রথম ওভারেই প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের দেখা পেয়ে গেলেন তানভীর। এরপর করেছেন এক হাতে মুখ চেপে আরেক হাতে আঙুল উঁচিয়ে করা উদ্যাপন, যে উদ্যাপন নিয়মিত দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ বিপিএলে।
ফুললেংথে ইন সুইং, পেছনের পায়ে ভর দিয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে মিস করে গেছেন ডেভিড ম্যালান। আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এলবিডব্লু দিয়েছিলেন, সে সিদ্ধান্ত সময় নিয়ে রিভিউ করেছিলেন ম্যালান। তবে বল ব্যাট পার হয়ে যাওয়ার সময় আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে স্পাইক। টেলিভিশন আম্পায়ার গাজী সোহেল তাই ওভাররুল করেছেন অন-ফিল্ডের সিদ্ধান্ত, অক্ষত আছেন ম্যালান।
তানভীরকে ২ ওভার করানোর পর সে প্রান্ত থেকে নিজেই এসেছেন সাকিব। চার মেরে বাংলাদেশ অধিনায়ককে স্বাগত জানিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, শেষ বলে করেছেন ডিফেন্ড। এর আগের ওভারে তাসকিন দিয়েছেন দুই চার—বাটলারের পর মেরেছেন ম্যালান। তার আগের ওভারে তানভীরকে স্লগ করে ছক্কা মেরেছিলেন ম্যালান। প্রথম ওভারে সল্ট ফিরলেও ইংল্যান্ডের ভিত গড়ছেন বাটলার ও ম্যালান। ৫ ওভারে ইংল্যান্ড ৪২/১।
বাংলাদেশ ৪৬/০, ইংল্যান্ড ৪৭/১
পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই সাকিবের ওপর চড়াও হয়েছেন ম্যালান। কাট করে চার মারার পর স্লগ করে ছক্কা মেরেছেন ওয়াইড লং অন দিয়ে। সাকিবের ওভারে এসেছে ১৩ রান, বাটলারের সঙ্গে ম্যালানের জুটি পেরিয়ে গেছে ৫০।
এক্সট্রা কাভারে বাঁদিকে ডাইভ দিয়ে হাতও লাগিয়েছিলেন, তবে হাসান মাহমুদের বলে ম্যালানের কঠিন ক্যাচটি রাখতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় ওভারের পর এই প্রথম বাউন্ডারিশূন্য গেছে কোনো ওভার। ৯ ওভারে ইংল্যান্ড ৬৯/১।
যদিও বাটলার ও ম্যালানে সে স্কোর ডিফেন্ড করা এখন হুমকির মুখে। ৫৪ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৭৬ রান।
দেশের মাটিতে এর সমান বা বেশি রান করে বাংলাদেশ হেরেছিল একবারই। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানও যথেষ্ট ছিল না।
সাকিব আল হাসানের করা ১৩তম ওভারে কোনো বাউন্ডারি আসেনি, তবে এ ওভারে ১০০ পেরিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। ৪২ বলে তাদের প্রয়োজন ৫৯ রান। এর আগে মিরাজের করা ওভারে চারের পর ছক্কা মারেন বাটলার। সে ওভারে ফিফটি পূর্ণ হয় ম্যালানের।
স্লো বাউন্সার, পুল করতে গিয়ে ঠিক ব্যাটে-বলে করতে পারেননি ম্যালান। উইকেটের পেছনে লিটন দাস নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। ৪৭ বলে ৫৩ রান করে ফিরেছেন ম্যালান।
এ উইকেটেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট পূর্ণ হয়ে গেল মোস্তাফিজের। সব মিলিয়ে মোস্তাফিজের আগে এ কীর্তি আছে মাত্র পাঁচ জনের—টিম সাউদি, সাকিব, রশিদ খান, ইশ সোধি ও লাসিথ মালিঙ্গা।
ম্যালান আউট, ঠিক পরের বলে আউট বাটলারও। মোস্তাফিজের লেংথ বলটা পয়েন্টে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন বেন ডাকেট, সাড়াও দিয়েছিলেন বাটলার। তবে মিরাজের সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙেছে স্টাম্প। জেগে উঠেছে মিরপুর, আবারও গুচ্ছাকারে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে ইংল্যান্ড!
ইংল্যান্ড অধিনায়ক থেমেছেন ৩১ বলে ৪০ রান করে।
৩৬ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৫৭ রান। বেন ডাকেটের সঙ্গে ক্রিজে মঈন আলী।
স্লোয়ার, স্লোয়ার, স্লোয়ার… হাসানের স্লোয়ার এ ওভারে হয়ে পড়ল অনুমিত। প্রথমে মঈন আলী লং অনের ওপর দিয়ে পাঠালেন বাইরে, এরপর পুলের মতো করে ঘুরিয়ে চার মারলেন ডাকেট। হাসানের করা ১৬তম ওভারে এলো ১১ রান। শেষ ৪ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৪০ রান।
তাসকিন আর স্লোয়ারের দিকে এগোননি, সফলও হয়েছেন তাতেই। লেংথ থেকে ঘুরিয়ে মিডউইকেট পার করতে গিয়ে সীমানার ওপর মিরাজের হাতে ধরা পড়েছেন মঈন আলী, ১০ বলে ৯ রান করেই।
তাসকিনের ফুললেংথের বল, ডাকেট মিস করে গেছেন পুরো। উপড়ে গেছে অফ স্টাম্প। এ ওভারের শুরুতেও একটু পিছিয়েই হয়তো ছিল বাংলাদেশ, তবে এখন স্বাগতিকদের পরিষ্কার ফেবারিট বানিয়ে দিলেন তাসকিন। ১৮ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ঠিক দ্বিগুণ ৩৬ রান।
১২ বলে প্রয়োজন ৩১ রান
১৯তম ওভারে নিজেকে এনেছেন সাকিব, ব্যাকফুটে গিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তানভীরের হাতে ধরা পড়েছেন স্যাম কারেন। ১১ বলে ৩১ রান, ম্যাচ বাংলাদেশের হাতে!
শেষ ওভারে প্রয়োজন ২৭ রান।
প্রথম বল লো ফুলটস, লং অফ দিয়ে চার ওকসের।
দ্বিতীয় বলে অফ স্টাম্প বরাবর ব্লকহোলে, এবার পয়েন্ট দিয়ে চার।
তৃতীয় বল অফ স্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার, ব্যাটে বলে করতে পারেননি ওকস, বাই থেকে ১ রান।
চতুর্থ বল একই লাইন, আবার মিস, আবার বাই থেকে ১ রান।
পঞ্চম বল আবার স্লোয়ার, এবার আর বাইয়ের জন্যও দৌড়াননি ক্রিস ওকস।
শেষ বলও ডট।
বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী, সিরিজ ৩-০-তে জয়ী!
১৫৯ রানের লক্ষ্যে ১৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০০ রান। এ ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল ইংল্যান্ড। ক্রিজে ছিলেন দুই থিতু ব্যাটসম্যান ডেভিড ম্যালান ও জস বাটলার।
এরপরের ২ ওভারেই বদলে গেল চিত্রটা। ডেভিড ম্যালানকে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। জস বাটলার ঠিক পরের বলে রানআউট। আরেকবার পথ হারাল ইংল্যান্ড। আরেকবার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ।
১, ২, ৩—বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ধবলধোলাই! ওয়ানডে সিরিজে শেষ ম্যাচ জিতে ধবলধোলাই হওয়া আটকেছিল বাংলাদেশ, তবের পরের তিন ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে সে স্বাদ দিল সাকিব আল হাসানের দল।
৩ ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ, সর্বশেষ ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা।
হাসান মাহমুদ ও মিরাজ ছাড়া বাকিরা উইকেটের দেখা পেয়েছেন। তবে হাসান ডেথ ওভারে স্নায়ু ধরে রেখেছেন, মিরাজ তো ফিল্ডিংয়েও ছিলেন দারুণ। দারুণ ছিল সাকিবের অধিনায়কত্বও।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল শেষ ৫ ওভারে। সে সময়ে উঠেছিল মাত্র ২৭ রান। ইংল্যান্ড শেষ ৫ ওভারে তুলেছে ৩৪ রান, তবে যথেষ্ট হয়নি সেটিও।