কেশব মহারাজের স্পিনে ত্রিনিদাদ টেস্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলনামূলক কম রানে আটকেও তাই স্বস্তিতে নেই ক্যারিবীয়রা। বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪৫। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে এখনো ২১২ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
ত্রিনিদাদে ৮ উইকেটে ৩৪৪ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ তৃতীয় দিনে বেশি দূর এগোতে পারেনি তারা, ১৩ রান যোগ করেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। উইন্ডিজের হয়ে জোমেল ওয়ারিকান ৬৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এবং ৬৭ রানে ৩ উইকেট নেন জেডেন সিলস।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ৩৫৭ রানের জবাবে শুরুটা ভালোই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রেইগ ব্রাফেট ও মিকিলে লুইস গড়েন ৫৩ রানের জুটি। তবে ফাস্ট বোলারদের ভালো খেললেও মহারাজের ঘূর্ণিতে সংগ্রাম করেছেন তাঁরা। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে মহারাজের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন লুইস।
জুটি গড়েন ব্রাফেট ও কেসি কার্টি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং সামলে এ দুজন দলকে ধীরেসুস্থে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১১৪ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়ে ভাঙে এ জুটি। ব্র্যাফেটও করেন লুইসের মতো ৩৫ রান।
এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ৪২ রান করে ফিরে যান কেসি কার্টি। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১১৯। দলীয় ১২৪ রানে ফিরে যান আলিক আথানজেও (৩)। এরপর অবশ্য আর কোনো বিপদ হতে দেননি কাভেম হজ (১১*) ও জেসন হোল্ডার (১৩*)। ৪৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মহারাজ।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মহারাজ বলেন, ‘বিষয়টা হচ্ছে সবকিছু সরল রাখা এবং ধৈর্য ধরে একইভাবে বল করে যাওয়া। এখানে উইকেট থেকে তেমন কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না। এর ফলে আমি বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের গতিতে ও গতিপথে বল করে রান করাকে কষ্টসাধ্য করে তুলতে চেয়েছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১১৭.৪ ওভারে ৩৫৭
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৬৭ ওভারে ১৪৫/৪ (কার্টি ৪২, লুইস ৩৫, ব্রাফেট ৩৫; মহারাজ ৩/৪৫)
*তৃতীয় দিন শেষে।